শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘ব্যাংকগুলো ডলার বিনিময় হারের নামে লুটপাট চালাচ্ছে’

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ০০:৪৮

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডলার বিনিময় হারের নামে লুটপাট করছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে লুটের মালের মতো প্রতি ডলারে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা রাখছে। গতকাল বুধবার পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, অনেকেই সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনার কথা বলছে, আমি এটা বিশ্বাস করি না; সুদের হার বাড়িয়ে রাতারাতি কিছু একটা হয়ে যাবে এমন না। কারণ আমাদের ৮০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সেবার বাইরে। অর্থনীতির বড় অংশ ইনফর্মাল। সুদের হার বাড়ালে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে। 

এনবিআর এফবিসিসিআইয়ের কথা শুনছে না অভিযোগ করে জসিম উদ্দিন বলেন, একসঙ্গে কাজ করতে হলে আমাদের কথা শুনতে হবে। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের একটি টাস্কফোর্স আছে, কিন্তু মিটিং হয় না। মিটিং হলে আলাপ-আলোচনা করে যেটা ভালো সেটা করা যায়। এইচএস কোড নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম, এটা নিয়ে কাজ করা যায়। একজন ভুল এইচএস কোডে মালামাল নিয়ে এসেছে, এজন্য ২ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারের জন্য কঠিন হলেও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য ও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হয়েছে। এগুলো আমাদের জন্য ভালো, এটা আমরা রেখেছি। ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখা হবে। মূল্যস্ফীতির বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পণ্য যে দামে বিক্রি হচ্ছে, উত্পাদন বা কেনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। বারবার উদ্যোগের পরও কাজে আসছে না। যেই আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অমনি পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে সব সময়ই ‘ট্রিগারে’ হাত রাখতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৬ শতাংশ। এটা অর্জন করা কঠিন হবে। তার পরও চেষ্টা করা হবে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করেছি। এগুলো আমরা দেখব। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ আমাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করছে।

 

ইত্তেফাক/ইআ