শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ০১:৫৫

ফের ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী। বুধবার তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই বইছে তাপপ্রবাহ। এরইমধ্যে বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতাও বেড়েছে। প্রখর খাঁ খাঁ রোদ দিনের বেলায় আগুনের মতো হল্কা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোক সমাগম কমে গেছে। বিরাজমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদী জনপদ। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ঘরের বাইরে বের হলেই রোদের প্রখরতায় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে-বাইরে সর্বত্র অস্বস্তি।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রীর ওপরে। মঙ্গলবার ছিলো ৩৯.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের আব্দুল খালেক সরকার জানান, তাপমাত্রার সাথে সাথে বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতাও বেড়েছে। এসময় আদ্রতা ১৫ থেকে ২২ ভাগ থাকার কথা। বুধবার ছিলো ৪৪ ভাগ। যেকারণে তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এরআগে এপ্রিলে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র ও অতি তাপপ্রবাহ। তাপ পরিমাপের কাটা তীব্র তাপপবাহকেও (৪২ ডিগ্রী) ছাড়িয়ে যায়। ৪২ ডিগ্রীর ওপরে তাপমাত্রা কয়েকদিন অব্যাহত ছিলো। ১৭ এপ্রিল  ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী রেকর্ড হয়।

লোডসেডিং এর সাথে রয়েছে স্ক্যাডা সিস্টেমের লোডসেডিং। গত ৭ই মে একটি পাওয়ার ট্রান্সফরমারটি পুড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ১টি পাওয়ার ট্রান্সফরমার দিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে লোডসেডিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। ঈশ্বরদী অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট। একটির সাহায্যে প্রতিদিন মাত্র ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে।

ইত্তেফাক/ইআ