শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মর্যাদা নিশ্চিত করে দ্রুত প্রত্যাবাসন চায় রোহিঙ্গা নেতারা

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ১৭:৪০

বর্বর নিপীড়নে বাস্তুচ্যুত হয়ে ক্ষতবিক্ষত শরীরে বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছি। জাতিসংঘের সহযোগিতা ও বাংলাদেশের আন্তরিকতায় শরীরের ক্ষত শুকিয়েছে। কিন্তু পূর্ণ নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমার আমাদের ফিরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত মনের ক্ষত শুকাবে না। নাগরিকত্ব ও ভিটে-বাড়ির নিশ্চয়তা দিয়ে মর্যাদা নিশ্চিত করে আমাদের ফিরিয়ে (মিয়ানমার) নিন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও সমাবেশে এসব কথা বলেন রোহিঙ্গা নেতারা।

ছবি: ইত্তেফাক

রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞে জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন অবিলম্বে নিজেদের বসতভিটায় ফিরতে চায়। বার বার প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠক হলেও শুরু হচ্ছে না প্রত্যাবাসন। এ দাবি যত জোরালো হচ্ছে জাতিসংঘের দ্বৈতনীতি প্রকাশ পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের রেশন কমিয়ে দেওয়া, ফিরতে ইচ্ছুকদের রেশন বন্ধ করা রহস্যজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করি। তাই, দ্রুত প্রত্যাবাসন ও ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া হত্যা, ধর্ষণসহ নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাই।

নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, আমাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে এদেশের সরকার ও জনগণের মন খারাপ হয় এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের অনেকে মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পুরো রোহিঙ্গা কমিউনিটিকে লজ্জায় ফেলেছেন। প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত যেন বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগণ আমাদের সুন্দর মনে আশ্রয় দেন, সেই পরিস্থিতি বজায় রাখুন।

রোহিঙ্গা নেতাদের মতে, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চোখে পড়লেও তা বাস্তবায়নের পর্যায়ে না যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের কারণে মাদকের আগ্রাসন, চুরি ডাকাতিসহ সমাজে অপরাধ বেড়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় নাগরিকদের রোহিঙ্গা নয় মর্মে প্রত্যয়ন নিতে হয়। এটা চরম লজ্জাজনক। কক্সবাজারবাসী আজ অতিষ্ঠ। এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে কক্সবাজারকে রোহিঙ্গামুক্ত করা।

নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানববন্ধনে জড়ো হয় হাজারো রোহিঙ্গা। মানববন্ধন ধীরে ধীরে সমাবেশে রূপ নেয়। সমাবেশে তারা ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া হত্যা, ধর্ষণসহ নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে দ্রুত প্রত্যাবাসন কামনা করেন তারা।

ইত্তেফাক/এবি/পিও