শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিষক্রিয়ায় দুই ভাইয়ের মুত্যু: কোম্পানির এমডি-চেয়ারম্যান রিমান্ডে

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩, ২১:১৬

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক বাড়িতে দেওয়া তেলাপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় দুই স্কুলপড়ুয়া দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের হাজির করে পুলিশ। 

এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিদের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। 

শুনানিতে তিনি বলেন, কোম্পানির কর্মচারীরা বাসায় স্প্রে করে আসে। তাদের ৮/১০ ঘণ্টা পরে বাসায় প্রবেশ করতে বলেন। কিন্তু তারা দুই ঘণ্টা পরই বাসায় প্রবেশ করেন। বাসায় এসেই এসি ছেড়ে দেন। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১০ বছর যাবত এ কাজ করে যাচ্ছে। এমন ঘটনা প্রতিষ্ঠানের ঘটেনি। তারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত। আর আসামিদের এজাহারে নাম নেই। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। 

রিমান্ডে যাওয়া আসামিররা হলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান ও ফরহাদুল আমিন। আগে, বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

জানা যায়, গত শুক্রবার পোকামাকড় নিধনে একটি পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাসায় ডেকে আনেন মোবারক হোসেন ও শারমিন জাহান দম্পতি। কীটনাশক স্প্রে করার পর কর্মীরা বলে যান, ছয় ঘণ্টা যেন কেউ বাসায় না ঢোকেন। এরপর পুরো বাসা পরিষ্কার করে বসবাস করতে হবে। পরিবারটি বাইরে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছোট ছেলে শাহির। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে তার বড় ভাই শায়ান। গত রোববার ভোরে দুই ভাইকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শাহিরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শায়ানও মারা যায়। তবে এই দম্পতির অপর সন্তান (মেয়ে) সুস্থ আছে। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা করেন।

ইত্তেফাক/পিও