স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হয়েছে নার্সদের কারণে। তাছাড়া করোনার সময় একদিনেই আমরা যে ১ কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছিলাম তার পেছনে নার্সদের বিরাট ভূমিকা ছিল। দেশে বর্তমানে ৪৫ হাজার নার্স ও মিডওয়াইফারি কর্মরত রয়েছেন। নার্সিংয়ের কারিকুলাম আপডেটের মাধ্যমে নার্সদের গুণমান উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা দেশ-বিদেশে চাকরি পেতে পারেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নার্স ও মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নার্সিং ও মিডওয়াইফ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বর্দন জং রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যবাজেট বিষয়ে বলেন, আমরা খুব অল্প বাজেটে কাজ করি। আমাদের আশপাশের দেশ ৩, ৪, ৮ এমনকি জিডিপির ১০ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে যেন স্বাস্থ্য সেবাটা ভালো হয়। অথচ আমরা জিডিপির ১ শতাংশ দিয়ে কাজ করি। যদি জিডিপির ২-৩ শতাংশও পেতাম, তাহলেও যে কোনো উন্নত দেশের চেয়ে আমরা ভালো এবং বেশি সেবা দিতে পারতাম।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। আপনারা সবাই কাজ করেছেন বিধায় এটা হয়েছে। আপনাদের সেবায় স্বাস্থ্য খাতের গুণগত মান আরও ভালো হবে আশা করি। আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো স্বাস্থ্য সেবায় জনবল কম। আমরা হিসাব করে দেখেছি আমাদের ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য জনবল মিলে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য ২০ জন নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা হলো প্রতি ১৯ হাজার জনের জন্য ৪০ জন জনবল থাকবে। চাহিদার অর্ধেক জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। পুরো জনবল দিলে আমরা বিশ্বে ১ নম্বরে চলে যেতাম।