বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

খেলাধুলা-শরীরচর্চায় মেধার বিকাশ হয় ও দায়িত্ববোধ বাড়ে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, ০০:১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলা-শরীরচর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এর মধ্যে দিয়ে মেধার বিকাশ হয়, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ বাড়ে। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর মধ্যে দিয়ে মানুষের যেমন মেধা বিকশিত হয়, ঠিক সেইভাবে আমাদের দেশের মানুষের উজ্জীবিত হওয়া, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে, দায়িত্ববোধ বাড়ে, কর্তব্যবোধ বাড়ে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা যত বেশি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত থাকবে ততবেশি আমি মনে করি শুধু লেখাপড়া না, পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত থাকে আমি সেটাই চাই।’

ছবি: আইএসপিআর

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশ সব দিক থেকে বিশ্বে সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।’ ফুটবলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা ফুটবল খেলতেন, আমার দাদা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি আমাদের নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। সেদিক থেকে ফুটবলের সঙ্গে আমাদের অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। তার থেকে বড় কথা সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল।’ এ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই আয়োজন সারা দেশে একটা অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এই আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়। আমাদের দেশে অনেক খেলা আছে। সেই খেলাগুলোও যেন আস্তে আস্তে যুক্ত করে এই ধরনের প্রতিযোগিতা যেন আরও চলতে পারে।’

ছবি: আইএসপিআর

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে উৎকর্ষ সাধন হবে। আর এখান থেকে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একসময় আমরা বিশ্বকাপ খেলতে পারব। হয়তো বিশ্বকাপ একদিন জিততেও পারব।’ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটা স্টেডিয়াম করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন আমার কাছে দাবি করেছে একটা স্টেডিয়াম, অবশ্যই একটা স্টেডিয়াম আমি করে দেব। পূর্বাচলে একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে, তার কাছে আরেকটা ফুটবল স্টেডিয়ামসহ আমাদের স্পোর্টস-এর জন্য যেন একটা স্টেডিয়াম হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে  দেব। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি, গত কয়েক দিন যেভাবে গরম পড়েছে, আল্লাহর মেহেরবানিতে গতকাল এবং আজকে বৃষ্টি হয়েছে, এ বৃষ্টি যেন আমাদের জন্য একটা শান্তির বারতা নিয়ে এসেছে। আমি জানি আমাদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, আমি জানি আমাদের এ অসুবিধাটা থাকবে না।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে বসে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা উপভোগ করেন। প্রথম বারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে আল-আরাফাহ ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ছিনিয়ে নেয় ইউনিয়ন ব্যাংক। 

প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী এবং রানার্সআপ দলের মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুটো গান পরিবেশন করা হয়। গ্যালারি ভর্তি দর্শক ফাইনাল খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বাব)-এর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। ৩৪টি ব্যাংকের অংশগ্রহণে গত ১৩ মে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট’ শুরু হয়। বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস।

ইত্তেফাক/এমএএম