বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সমঝোতায় যারা নির্বাচিত হতে চেয়েছিলেন তারাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সঙ্গে সমঝোতা করে মোমিনুল হক সাঈদের নেতৃতে, ২৮ জনের কমিটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে প্রায়। ওয়ার্ড কাউন্সিলরও সদস্য হয়েছেন।
মনোনয়নপত্রে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি না উঠে আসে তাহলে সাঈদ পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হবেন সেটা নিশ্চিত। সাঈদের সঙ্গী আবাহনীর মাহবুবুল এহছান রানা ফেডারেশনের প্রথম যুগ্ম-সম্পাদক এবং মোহামেডানের আরিফুল হক প্রিন্স দ্বিতীয় যুগ্ম-সম্পাদক নিয়েছেন। এখানে মোহামেডান, আবাহনী, ঊষা এবং মেরিনার মিলে পদ বণ্টন করে নিয়েছে। সাঈদের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ ইউসুফ সহসভাপতি হয়েছেন। যুগ্ম-সম্পাদকের পদ ছাড়তে হয়েছে ইউসুফকে।
সহসভাপতি পদে আব্দুর রশিদ সিকদার, জাকি আহমেদ রিপন, রাজ্জাক, কাজী সাইফুল, মোহাম্মদ ইউসুফ। কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুল হক। সদস্যরা হলেন- ইউসুফ আলী, মনোয়ার, সাফায়াত, হাজি হুমায়ুন, মাহবুব হারুন, পাপ্পু, নান্নু, লতিফ মুন্না, লেবু, টুটুল কুমার, শহিদুল্লাহ টিটু, আহমেদ আসিফুল হাসান, নাসিম রেজা, শেখ আলমগীর, তুহিন, রাজু, দিলিপ চক্রবর্তি এবং রতন।
কমিটিতে এতজনের মধ্যে জায়গা হয়নি ফেডারেশনের সহসভাপতি সাজেদ আদেলের। যিনি নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে বছরের পর হকিতে ক্লাব চালান। সাজেদ আদেলের মতো ভালো সংগঠক পাওয়া কঠিন। সাবেক এই খেলোয়াড় হয়তো অনেক কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলেন না। আর তাই হয়তো কাউন্সিলর ইস্যুতে সৃষ্ট জটিলতায় ফেডারেশন ছাড়তে হলো। তার কাছের মানুষরা নিজেদের পদ ঠিকঠাক রাখলেন কিন্তু সাজেদ আদেলের সাংগঠনিক দক্ষতা কাজে লাগাতে হাত বাড়ালেন না। সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পথ বের করলেন না, সমাধান করলেন না।