২০২৩ সালের প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। এবার প্রতিটি স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি উত্তীর্ণ সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদেরকে শ্রেণি পাঠ্যক্রমে আরও মনোযোগী করতে এবং ছাত্রছাত্রীদের মেধাবিকাশের স্বার্থে ২০২৩ সালের বৃত্তি পরীক্ষা এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নেওয়া হবে। ২০২২ সালের মতো একই পদ্ধতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ৫ম শ্রেণির ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ হতে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সভায় গত বছর থেকে আলাদাভাবে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে সারা দেশে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত বছর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। এবার তা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হলো।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ বছর চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। আর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতেও শিখনকালীন মূল্যায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগের মতো পরীক্ষায় বসতে হবে না শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ফের বৃত্তি পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে আবারও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা চালু করতে যাচ্ছে। কোচিং বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যা নিয়ে গতবছরই সোচ্চার হয়েছিলেন শিক্ষাবিদরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এ বছরও আবার প্রাথমিক বৃত্তির ঘোষণা দেওয়া হলো।
গত বছর পঞ্চম শ্রেণিতে প্রায় ৮২ হাজার শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছিল। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে প্রায় ৩৩ হাজার। আর সাধারণ কোটায় প্রায় ৫০ হাজার। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে মাসে পায় ৩০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা পায় ২২৫ টাকা। এছাড়া উভয় ধরনের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হয়। এ বছরের বৃত্তিতেও সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ একই রাখা হচ্ছে।