ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের পরিবহনে রাজধানীর লক্কড়-ঝক্কড় কোনো গাড়ি ঢাকা শহরের বাইরে রিজার্ভে পাঠানো যাবে না। এছাড়া ঈদ বকশিশ, শ্রমিকদের বেকার ভাতার নামে অতিরিক্ত টাকা এবং নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায়ও করা যাবে না।
সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর সব বাস মালিককে এ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
এদিন রাজধানীর রমনার কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘ঈদুল আজহার প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সভায় ঢাকার সব রুটের পরিবহন মালিক সমিতি ও ১২০টি পরিবহন কোম্পানির এমডি, সব টার্মিনালের (গাবতলী ছাড়া) মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা অংশ নেন।
আগামী ২৯ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হচ্ছে-
১.রাজধানীতে চলাচলরত লক্কড়-ঝক্কড় ধরনের কোনো গাড়ি ঢাকার বাইরে রিজার্ভে পাঠানো যাবে না।
২. ঈদ বকশিশ ও শ্রমিকদের বেকার ভাতার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না।
৩. যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৪. বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো এবং চালকের অনুপস্থিতিতে হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৫. শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি টার্মিনালে (বিশেষ করে সায়েদাবাদ ও মহাখালী) মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ‘ভিজিলেন্স টিম’ গঠন করা হবে। ওই টিমের সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে টার্মিনালে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।