বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

খালেদ মোশাররফসহ তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলা সিআইডিতে

আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩০

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রম এবং মুক্তিযুদ্ধের দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর-উত্তম ও  লে. কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর-উত্তম হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে। তদন্তসংক্রান্ত নির্দেশনা হাতে পেয়েছে জানিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (পশ্চিম) ইমরান হোসেন গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, ‘মামলার তদন্তসংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়েছি।’ এ মামলাটি সিআইডির পরিদর্শক জাহিদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে মামলার ডকেট (নথিপত্র) হাতে পাইনি। ডকেট হাতে পেলে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। 

অন্যদিকে, শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর মামলাটি সিআইডির মাধ্যমে তদন্তের আদেশ হওয়ায় থানা পুলিশ সব নথিপত্র সিআইডিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ দশক পর কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান গত ১০ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সেনাবাহিনীর বিপথগামী, বিশৃঙ্খল সদস্যদের হাতে তার বাবা নিহত হন। তিনি তখন সেনাবাহিনীর ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। সে সময়ের  সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান এবং জাসদ নেতা অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আবু তাহেরের নির্দেশে ২০-২৫ জন সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকের একটি দল নাজমুল হুদাসহ ঐ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। ঐ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে কেবল ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাবেক মেজর আব্দুল জলিল জীবিত আছেন জানিয়ে তাকেই মামলার এজাহারে আসামি করা হয়।

তবে জলিলের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ।

মামলার নথি আদালতে যাওয়ার পর মহানগর হাকিম রশিদুল আলম তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশকে ১২ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা তা দিতে না পারায় ঢাকার মহানগর হাকিম আলী হায়দার ২০ জুলাই নতুন তারিখ  নির্ধারণ করেছেন।

ইত্তেফাক/এমএএম