মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

চরম ভোগান্তিতে পানিবন্দি পরিবারগুলো, সড়কে ওঠার পথ নেই

আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৮:৪২

চারিদিকে বৃষ্টির অথৈ পানি। নেই পানি নিস্কাশনের কোনো ব্যবস্থা। ভোগান্তির মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল করতে হয়। ঘর থেকে সড়কে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। এর মধ্যে শুকনো জমির মালিক লোহার গেট আটকিয়ে রাখলে পরিবারগুলো বন্দি হয়ে পড়ে!

এ চিত্র রাজৈর পৌরসভাধীন রাজৈর উপজেলা সদরের সুফি জোনাবালী সড়কের পাশে আলমদস্তার এলাকায়।

অনেকেই নিজ বাসভবন ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া থাকছে। যাতায়াত পথের অভাবে নির্মাণসামগ্রী নিতে না পারায় কারো কারো পাকা ভবন বা আবাসিক ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। অথবা অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে আছে। এমনি কি আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস বা মুমূর্ষু রোগী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে এ্যাম্বুলেন্স সহযোগিতা নেওয়া সম্ভব নয়। 
  
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, রাস্তার অভাবে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছি। মাত্র ১০০ গজ দূরে উপজেলার প্রধান সড়কে যেতে হলে অন্যের জায়গা দিয়ে যেতে হয়। কোনো রকম মতবিরোধ হলেই লোহার গেটটি আটকে দেয়। তখন আমরা একেবারেই বন্দী হয়ে পড়ি। অন্যদিকে নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার বৃষ্টি নামলে পানি বন্দী হয়ে পড়ি। রাস্তার অভাবে নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়া করতে না পাড়ায় বাড়ি ঘরের নির্মাণ কাজও বন্ধ হয়ে আছে।

যোগাযোগ বন্দী এ এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. মফিজুর রহমান জানান, পৌরসভার সব নীতি পালন করলেও আমরা নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না। এ সমস্যা সমাধানের পৌরসভায় গিয়েও সুরাহা পাচ্ছি না। আমরা এখন দুর্যোগের মধ্যে বসবাস করছি। বেশি বর্ষণ হলে অনেকের ঘরে পানি প্রবেশ করবে। 

অ্যাডভোকেট ফায়েজুর রহমান হিরু বলেন, অপরিকল্পিত বাড়ি ঘর নির্মাণের ফলে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি অসহনীয় উঠেছে। রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করা না হলে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

রাজৈর পৌর মেয়র নাজমা রশিদ বলেন, সমস্যা সমাধানে ইতিপূর্বে রাস্তা নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু ব্যক্তির কারণে রাস্তা নির্মাণ কাজ ভেস্তে যায়। পুনরায় সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ইত্তেফাক/পিও