চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আরিফ উল্লাহ সরকার, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মো. সেলিম মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের নুরুল হক সরকার ও ওয়াদুদ মাস্টার মোবাইল ফোন প্রতীক।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য আরিফ উল্লাহ সরকার সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সকল পর্ষায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এক হয়ে তার পক্ষে কাজ করেছেন। সে কারণে এবার নৌকার জয়ের আশা করছেন তারা।
অপরদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরুল হক সরকার নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। নূরুল হক সরকারের সহধর্মিণী মিসেস আমেনা বেগম এই পৌরসভার দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই নির্বাচনে।
সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের আরিফ উল্ল্যাহ সরকার ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক সরকারের মধ্যেই হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাই লড়াইটা হচ্ছে দ্বিমুখী। এছাড়া এ নির্বাচনে অপর দুই মেয়রপ্রার্থী রয়েছেন। তারা প্রচারে থাকলেও জনপ্রিয়তা তেমন নেই।
ছেংগারচর পৌরসভাটি গঠিত হয় ১৯৯৮ সালে। জন্মলগ্ন থেকে এ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে মোট ৫ বার। আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ৩ বার ও বিএনপি জয় পেয়েছে ২ বার।
ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫১ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে। এবারই প্রথম এ পৌরসভার নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ২ জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ৩৩৪ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্র ১৬টি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৭টি মোবাইল টিম, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন আছে।