বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ওষুধ তৈরিতে কাঁচামালে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার তাগিদ 

আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৯

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস চুক্তির আওতায় প্যাটেন্টকৃত ওষুধ তৈরি করতে গেলে প্যাটেন্টকারীকে বিশেষ ফি দিতে হয়। ২০২৯ সাল পর্যন্ত কোনো প্যাটেন্ট ফি ছাড়াই বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো এসব ওষুধ তৈরি করতে পারবে। এরপর প্যাটেন্ট ফি দিতে হলে ওষুধের দাম অনেক বেড়ে যাবে। তাই এখন থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওষুধ তৈরির কাঁচামালে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কোস্ট ফাউন্ডেশন ব্রাইটিং দ্য গেপ: ট্রিপ অ্যান্ড  অ্যানহেন্স অ্যাক্রোস টু মেডিসিন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।  

থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।

সেমিনারে কোস্ট ফাউন্ডেশনের  মো. মজিবুল হক উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সহজলভ্য ঔষুধ নিশ্চত করা খুবই জরুরি কারণ দেশে মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় যে খরচ হয় তার ৪৪  শতাংশ হয় ওষুধের জন। দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রায় ১৪৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলেও যাতে সবার জন্য ওষুধ নিশ্চিত করা যায়। সেজন্য তিনি সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। কাঁচামালে আত্মনির্ভরশীল হওয়া, ওষুধ শিল্পে গবেষণা ও উন্নয়নে গুরুত্বারোপ, স্বাস্থ্য খাততে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং সকলের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত করা।

ভারতের ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাবেক অধ্যাপক ড. সুদিপ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের  ভেতরেই ঔষধের কাঁচামালের বাজার তৈরি করতে হবে, এর জন্য সরকারের নীতিসহায়তা প্রয়োজন। 

থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক সংস্থার প্রতিভা সিভাসুভ্রামানিয়ান বলেন, বাংলাদেশের প্যাটেন্ট আইন ২০২২-এ কিছু সংশোধনী আনা খুব প্রয়োজন। সেখানে দেশের প্রয়োজনে প্যাটেন্ট করা ওষুধ তৈরির জন্য দেশীয় কোম্পানিকে প্যাটেন্ট অধিকার ভাঙার সুযোগ করে দিতে হবে। যে কেউ যেন কোনো প্যাটেন্টের বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারে সেই সুযোগ রাখতে হবে। 

একই প্রতিষ্ঠানের রানজা সেনগুপ্ত বলেন, সবার জন্য ওষুধ নিশ্চিত করতে হলে নাগরিক সমাজকে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। 
 
কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায়  সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ন্যাশনাল কমিটি অন হেলথ মুভমেন্টের সভাপতি ডা. রশীদ ই মাহবুব, উবিনীগের ফরিদা আক্তার, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের শরীফ জামিল।  

ইত্তেফাক/আরএজে