ক্ষমতা দখলের পর একের পর এক ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে তালেবান। রোববার আফগানিস্তানের পশ্চিমে হেরাট প্রদেশে বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিলো তারা।
রাষ্ট্র পরিচালিত বাখতার নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তালেবানের নীতিপুলিশ এই কাজ করেছে।
প্রোমোশন অফ ভার্চু অ্যান্ড দ্য প্রিভেনশন অফ ভাইস নামের একটি বিভাগের প্রাদেশিক প্রধান শেখ আজিজ আল-রহমান আল-মুহাজির বলেছেন, কর্তৃপক্ষ বাদ্যযন্ত্রগুলো প্রথমে জব্দ করে। তারপর সেগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে।
তালেবান কর্তৃপক্ষ সংগীতকে এক ধরনের 'দুর্নীতি' বলে উল্লেখ করেছে। কর্তৃপক্ষের, 'সংগীত তরুণ প্রজন্মকে ভুলপথে চালিত করে। সমাজের ধ্বংস ডেকে আনে।'
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর তালেবান সরকারআফগান সংবাদ মাধ্যমে সংগীত সংক্রান্ত যে কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো।
সম্প্রতি বিয়ে বা এ জাতীয় যে কোনো শুভ অনুষ্ঠানের হল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে সেখানে কোনোরকম বাদ্যযন্ত্র না বাজানো হয়। সবরকম সংগীতকে নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি করা হয়।
ইসলামিক বিধানের পরিপন্থি সবরকম কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানের একাধিক শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ পশ্চিমা দেশগুলোয় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।
আফগান নারীরা জাতিসংঘে কাজ করতে পারবে না বলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফতোয়া জারি করেছিলো তালেবান।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে তালেবান সব এনজিও-র নারী কর্মীদের কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে নারীদের কাছে পৌঁছানোর কাজ যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনই যে সব দেশ ত্রাণসাহায্য দিচ্ছে, তারা তা বন্ধ করে দিতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রবল হয়েছে।