খুলনায় চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় তিন আসামির জামিন বাতিল করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাদিউজ্জামান তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামের নূর আলম খাঁর স্ত্রী রঞ্জি বেগম, ছেলে সালাউদ্দিন খাঁ ও মেয়ে নূপুর খাতুন। এ মামলার আরেক আসামি নূর আলম খাঁ কারাগারে রয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিলুর রহমান মল্লিক বলেন, নারী ফুটবলারদের মারধরের মামলায় তিন আসামি ২১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু তারা জামিনে থাকা অবস্থায় বাদীপক্ষকে হুমকি-ধমকি দেওয়ায় আদালত মঙ্গলবার আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দেন। আসামিরা আদালতে হাজির হলে উভয়পক্ষের মধ্যে শুনানি হয়। শুনানি শেষে জামিনে থাকা অবস্থায় শর্তভঙ্গ করার দায়ে আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, জামিনে থাকা তিন আসামি তাদের জামিনের সকল শর্ত ভঙ্গ করেছে। তারা মামলার বাদী সাদিয়া নাসরিন ও অন্য ভুক্তভোগীদের মামলা তুলে না নিলে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেয়। যা পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বাদী ও অপর ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই জামিন বাতিলের আদেশ দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলায় গত ২৯ জুলাই রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামে চার নারী ফুটবলারকে মারধর করে নুর খাঁ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ৩০ জুলাই বটিয়াঘাটা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ফুটবলার সাদিয়া নাসরীন। পুলিশ নূর খাঁকে গ্রেপ্তার করলেও অপর তিন আসামি আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। পরে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিলে সাদিয়া নাসরীন তিনজনকে অভিযুক্ত করে গত ১ আগস্ট থানায় জিডি করেন।