বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম মেয়াদে যেমন ছিলেন সাকিব

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৪৭

তামিম ইকবাল অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক কে হবেন, তা নিয়ে চলছিল আলোচনা। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর এবার ওয়ানডে অধিনায়কত্বও ফিরে পেলেন সাকিব। সেইসঙ্গে আবারও তিন সংস্করণে একই অধিনায়কের চক্রে ফিরে গেল বিসিবি। ওয়ানডে সংস্করণে সাকিব প্রথম অধিনায়কের দায়িত্ব পান ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। 

সেই সফরে তখনকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটে পড়েছিলেন। মাশরাফির অনুপস্থিতিতেই অধিনায়কত্বের প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাকিব। তার অধিনায়কত্বে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করে টিম টাইগার। যা ছিল সে সময়ে ছিল দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অর্জন। 

এরপর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলে ছিলেন না মাশরাফি। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ঘরের মাঠে সেই বিশ্বকাপে ভালো মন্দ মেশানো পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়ে টাইগাররা। আবার আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকেও হারায় সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ও জিম্বাবুয়ের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সিরিজেও অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটি সিরিয়াসলি না নেওয়ার দায়ে সাকিবকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিসিবি।

এরপর ২০১৫ সালে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি চোটে পড়ায় দুটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। আর সর্বশেষ ২০১৭ সালে লাহাইডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে একটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন তিনি। 

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে সব মিলিয়ে ৫০টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। ২৩টি ম্যাচ জয়ের বিপরীতে তার অধীনে ২৬টি ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। পরিত্যক্ত হয় একটি ম্যাচ। সাকিবের নেতৃত্বে ৪৬ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।   

ইত্তেফাক/জেডএইচ