বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

জ্বালানি তেল আমদানি, শোধন ও বিক্রিতে আসছে বেসরকারি খাত

পাঁচ কোম্পানির প্রস্তাব জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৩০

দেশে জ্বালানি তেল আমদানি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিক্রিতে বেসরকারি খাতকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে  ‘বেসরকারি পর্যায়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিপূর্বক মজুত, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন ও বিপণন নীতিমালা-২০২৩’ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে শিগগিরই এটি চূড়ান্ত করা হবে।

এ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পরিশোধিত তেল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে বিক্রির নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি পণ্য রপ্তানিরও সুযোগ রাখা হয়েছে নীতিমালায়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিপিসি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে শুধু বিপিসি অপরিশোধিত তেল আমদানি করে। সেই তেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধিত হয়ে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলসহ সরকারি বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। এর বাইরে সরকারি খাতের তিনটি ও বেসরকারি খাতের ১৩টি রিফাইনারি (কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্ট) পেট্রোবাংলার কাছ থেকে কনডেনসেট গ্রহণের পর প্রক্রিয়াজাত করে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, সলভেন্ট, মোটর স্প্রিট, কেরোসিন সুপিরিয়র অয়েল, মিনারেল তারপেনটাইনসহ বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন করে। এছাড়া বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে পারে।

জ্বালানি বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি তেলের আমদানি, পরিশোধন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় সরকার। এতে এ খাতে যে পরিচালনগত ও আর্থিক চাপ বাড়ছে তা এড়াতে পারবে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।  তাই নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। চলতি আগস্টের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি চূড়ান্ত করা হবে। ইতিমধ্যে খাত সংশ্লিষ্টদের কাছে খসড়াটি পাঠিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।

ঐ কর্মকর্তা আরও জানান, দেশে অপরিশোধিত তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিক্রিতে অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচটি বেসরকারি কোম্পানি বড় ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ এবং পেট্রোম্যাক্স ও অ্যাকোয়া রিফাইনারি রয়েছে। অনানুষ্ঠানিক আলোচনার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ চট্টগ্রামে ভূমি উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে।

জ্বালানি তেল সরবরাহ ও বিপণন বিষয়ে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে—রিফাইনারির চূড়ান্ত অনুমোদন প্রাপ্তি/থাকা সাপেক্ষে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আবেদন করবে। বেসরকারি উদ্যোক্তা চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর বিপিসির অনুকূলে ২৫০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।

ইত্তেফাক/এমএএম