নাইজারের চলামান সংকটের সমাধানে সামরিক হস্তক্ষেপে প্রস্তত পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট (ইকোওয়াস)। দেশটিতে অভ্যুত্থানে করণীয় নিয়ে আঞ্চলিক জোটের ১৫ সদস্যের প্রতিরক্ষার প্রধানদের আলোচনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আলজাজিরা
ঘানার রাজধানী আক্রায় পশ্চিম আফ্রিকার সেনাপ্রধানদের দুই দিনের বৈঠকের সমাপনী অনুষ্ঠানে ইকোওয়াসের রাজনৈতিক, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনার আবদেল-ফাতাউ মুসা বলেন, কোনো বাধা ছাড়াই আমরা যে কোনো সময় নাইজারে হস্তক্ষেপ চালাতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্তও ঠিক হয়ে গেছে। আমরা ইতিমধ্যে একমত হয়েছি এবং হস্তক্ষেপের জন্য কী প্রয়োজন তা ঠিক করেছি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইকোওয়াস এখনও নাইজারের সামরিক নেতাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে। আমরা এখনও একটি মধ্যস্থতা মিশন প্রস্তুত করছি, তাই আমরা কোনও দরজা বন্ধ করিনি।
নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্টাফ জেনারেল ক্রিস্টোফার গুয়াবিন মুসা বৈঠকে বলেন, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে আছি এবং এতে উত্সাহ দিই। আমাদের জড়ো হওয়ার লক্ষ্য শুধু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নয়, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।
নাইজারের বন্দি প্রেসিডেন্টকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব হস্তান্তরে গত ৬ আগস্ট জান্তাকে সময় বেঁধে দেয় জোটটি। এটি না মানলে বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
কিন্তু ওই আলটিমেটাম আমলে নেয়নি জান্তা। তারা পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোর হুমকি মোকাবিলায় রাশিয়ার সশস্ত্র ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সহায়তা চেয়েছেন।
গত ২৬ জুলাই সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন পশ্চিমা সমর্থিত দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম। তারই বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদুরাহমানে তচিয়ানি নিজেকে নতুন নেতা ঘোষণা করেন।
সাহারা মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত নাইজার। ফ্রান্স থকে ১৯৬০ সালে স্বাধীন হয় দেশটি। স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থানের কারণে রাজনীতিতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করে। ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হন বাজুম। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালে স্বাধীন হওয়ার পর নাইজারের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন তিনি।