বাংলাদেশে আসছে আফগানিস্তান। ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে। আগামী ৪ ও ৭ সেপ্টেম্বর এই দুটি ম্যাচ হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৫ সালের মে মাসে শেষ বার ঢাকায় এসেছিল আফগানিস্তান। সেবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল আফগানিস্তান। এর আগে ২০০৩ সালে প্রথম বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেললেও আফগানিস্তান কোনো ম্যাচ জিতেনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের দেখাও হয়নি। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২-২ গোলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ড্র করে এবং চার দিনের ব্যবধানে ফিরতি ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-১ গোলে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল। আফগানিস্তান বাংলাদেশে এসে কখনো বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি। তবে হার-জিতের পাল্লায় আফগানিস্তান এগিয়ে আছে। ১৯৭৯ সালের পর ৮ বারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশের ১ জয়, আফগানিস্তানের ২ জয়, ৫ ড্র। বাংলাদেশে এসে আফগানিস্তান এখনো জিততে পারেনি। এবার আফগানিস্তানের ভাগ্যে কি আছে, সেটা আগাম বলা খুব একটা কঠিন কিছু হবে না। যদি ফিফার র্যাংকিং দেখা যায় তাহলে যে কেউ অনুভব করতে পারবেন দুই দলের এখনকার পার্থক্য কেমন। আফগানিস্তান ১৫৭, বাংলাদেশ ১৮৯ নম্বরে।
৭৯ সালে সালাহউদ্দিন, চুন্নুরা আফগানিস্তানকে হারিয়েছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে। তাদের উত্তরসুরিরা কখনো জয় না পেলেও ড্র পেয়েছিল। ২০০৮ সালে কিরগিজস্তানে চ্যালেঞ্জ কাপে ড্র, ২০১৫ সালে ঢাকায় প্রীতি ম্যাচে ড্র, কলম্বো সাফে ড্র, কেরালা সাফে ৮-০ গোলে হেরেছিল, সর্বশেষ কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ড্র হয়েছিল, ২০২১ সালে। জামাল ভুঁইয়া, তপু বর্মনরা খেলেছিলেন। জয়ের সুযোগ ছিল। কাজে লাগাতে পারেনি। এখনকার নতুন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা আফগানিস্তানকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বসুন্ধরা কিংসের মাঠে ১২ জন ফুটবলার নিয়ে মঙ্গলবার অনুশীলন শুরু হয়েছে। ৩২ জন ডাকা হয়েছিল। বসুন্ধরা কিংস এবং আবাহনীর ফুটবলাররা আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের ক্লাবের খেলা শেষে যোগ দেবেন।
স্প্যানিশ কোচ সবাইকে নিয়ে একটু ভিন্নমাত্রায় কাজ শুরু করেছেন। কারণ এবারের অনেকেই হ্যাভিয়ের সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত না। হ্যাভিয়েরের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি কাল বিকালে সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন পরিকল্পনার কথা। ‘অনেকেই দলের নতুন এসেছেন যারা হ্যাভিয়েরের সঙ্গে কাজ করেননি। কোচের আইডিয়াটা কি। এই সংখ্যাটা (ক্যাম্পে যোগ দেওয়া ১২ জন) অনেকেই জানেন না। হ্যাভিয়ের প্ল্যান, গেম প্ল্যান কি সেটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই সপ্তাহটা এটা নিয়ে কাজ করা হবে-বললেন হাসান আল মামুন।
হ্যাভিয়ের কাবরেরা ১২ ফুটবলারকে নিয়ে পৃথক পৃথক মিটিং করেছেন। বিশেষ করে রক্ষণে যারা আছেন তাদের একটা গ্রুপ, আক্রমণ ভাগে যারা খেলেন তাদের নিয়ে আলাদা মিটিং, এভাবে সবার সঙ্গে বসে কথা বলেছেন কোচ। হাসান আল মামুন জানালেন, ‘আগের দিনও মিটিং হয়েছে। সেটা একেবারে ব্যক্তি ধরে ধরে। কার কি লক্ষ্য, কে কি করতে চান সেগুলো নিয়ে কোচ কথা বলেছেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে। খেলোয়াড়রা মোটামুটি ক্লিয়ার হচ্ছেন হ্যাভিয়ের কি চাইছেন।’ আগেভাগে, ২৬ আগস্ট ঢাকায় চলে আসতে পারে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে আর আফগানিস্তানের মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে।