সম্প্রতি ফ্লোরিডায় একটি দোকানে কৃষ্ণাঙ্গদের দিকে গুলি চালিয়েছে এক ২১ বছরের যুবক। পরে নিজেকেও শেষ করে দিয়েছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই বাইডেন বলেছেন, বর্ণবাদ শেষ করার সময় এসেছে।
প্রেসিডেন্টের কথায়, কালো মানুষদের জীবন যাতে এভাবে চলে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। সূত্র ডয়চে ভেলে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ারের ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম বক্তৃতা’র ৬০ বছর উপলক্ষে সোমবার ( ২৮ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে একথাগুলো বলেছেন বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বর্ণবাদ ও বিদ্বেষমূলক আক্রমণ বন্ধ করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছে। যাতে মূল থেকে এই ধরনের অপরাধকে উৎপাটিত করা যায়।
বক্তৃতার পর হোয়াইট হাউসে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ছেলে ও মেয়েদের সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করেন বাইডেন ও কমলা হ্যারিস।
প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতও বটে। হ্যারিস তার বক্তব্যে বলেছেন, আমেরিকায় কালো ও সাদা মানুষের মধ্যে বিশেষ কোনো তফাত নেই। কিন্তু কেউ কেউ তফাত তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের দায়িত্ব তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া। আমেরিকাকে কোনোভাবেই এই বিদ্বেষের মধ্য়ে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
সম্প্রতি ফ্লোরিডায় একটি ২১ বছরের যুবক বন্দুক নিয়ে ডলার জেনারেল স্টোরের ভেতর ঢুকে পড়ে। শুধুমাত্র কৃষ্ণাঙ্গদের দিকেই গুলি চালাতে থাকেন তিনি। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর নিজেকেও শেষ করে দেন ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে ওই যুবক হেট স্পিচ প্রচার করে।
বস্তুত, এর আগেও একাধিক এমন শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। বর্ণবাদ নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে আমেরিকায়। এদিন লুথার কিংয়ের ছেলে বলেছেন, বর্ণবাদের এক নতুন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বর্ণবাদ আমেরিকায় নতুন সমস্যা নয়। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি ও অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। তার দীর্ঘ ও তীব্র লড়াই আমেরিকার ইতিহাস বদলে দিয়েছিল। সে সময় বিখ্যাত বক্তৃতা দিয়েছিলেন কিং ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’। সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতার ৬০ বছর উদযাপন হয়েছে সোমবার। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস দুজনই উপস্থিত ছিলেন।