১৯৭১-১৯৭৫ ও ২০০৪ এর ২১ আগষ্ট একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব জিয়াউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণকান্ত মজুমদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজীর সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানটি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্র করে ১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তার প্রতিদান হিসেবে মাত্র সাতদিনের মাথায় তাকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। এরপর তিন মাসের মাথায় জিয়াউর রহমান উপ-সামরিক আইন প্রশাসক এবং চার মাসের মাথায় প্রধান আইন সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যে কয়টা মিটিং হয়েছিল, সবকয়টাই হয়েছিল জিয়াউর রহমানের সঙ্গে, আমেরিকান হাইকমিশনের সঙ্গে।
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানোর জন্য যে আইন (প্রণীত) হয়েছিল সেটিও পাস হয়েছিল জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরে, ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বিলের মাধ্যমে। কাজেই বঙ্গবন্ধুর খুনের নাটের গুরু, প্রধান কারিগর ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমান, আর শেখ হাসিনাকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তার কারিগর ছিল তার পুত্র তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া।
বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে লাল-সবুজের পতাকার পরিবর্তে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করতে চাইবে। শেখ হাসিনা আমাদের কাছে একজন মহামানবী। বিধবা স্বামী পরিত্যাক্তা সবার কাছেই শেখ হাসিনার ভাতা পৌছে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা আমাদের কাছে আল্লাহর আশীর্বাদ, ইজ্জত দেওয়ার মালিক আল্লাহ কাকে, কোথায় রাখবেন- তা জানেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কর্মীদের গালিগালাজ করে মহত্ত্ব লাভ করা যায় না। শেখ হাসিনা না থাকলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে, আমাদের দায়িত্ব আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনা। আগামীতে যিনি নৌকার প্রার্থী হবেন, আমি তার সঙ্গে থাকবো, শেখ হাসিনা ও বঙ্গন্ধুর পক্ষে থাকবো। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু, আমাদের আদর্শ বঙ্গবন্ধু, আমাদের প্রতীক নৌকা।