কক্সবাজারের টেকনাফে বন পাহারাদলের তিন সদস্যকে অপহরণের পর ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পরও তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় পরিবারে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
অপহৃতরা হলেন টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার মো. বকসু মিয়ার ছেলে মো. আব্দুর রহমান (৩৭) একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. শাকের আলী (২৪) ও মো. আব্দুর রহিম (৪০)।
টেকনাফ রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বন পাহারাদলের (সিপিজির) তিন সদস্য দমদমিয়া নেচার্র পার্ক সংলগ্ন পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সন্ধ্যায় তারা বাড়িতে না ফিরলে আমরা তাদের খোঁজতে পাহাড়ে ভেতর গিয়েও পায়নি। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যায় পর্যন্ত পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের উদ্ধার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীদের স্বজনদের অভিযোগ, তাদের ফেরত পেতে হলে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, সিপিজির তিন সদস্য অপহরণের ঘটনায় আমরা লোকজন নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই পাহাড়ে তাদের খোঁজে বেড়াচ্ছি। ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এতদিন রাখাল, কৃষক অপহরণ হলেও বনকর্মী অপহৃত হয়নি। এখন বন পাহারাদার অপহরণ হবার পর সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, দমদমিয়া নেচার পার্কের পাহাড় থেকে অপহৃত সিপিজির তিন সদস্যকে উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। সন্ধ্যার পরও পাহাড়ে পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফে এ পর্যন্ত শতাধিক অপহরণের ঘটনায় দেড় শতাধিক লোক অপহরণকারীর কবলে পড়েছেন। যারা মুক্তিপণ দিতে পেরেছেন তারা ফেরত আসতে পেরেছেন। মুক্তিপণ দিতে না পেরে এক ইজিবাইক চালকসহ ৬ জন খুন হয়েছেন।