রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বাস শ্রমিক মোরশেদুল হত্যা: ৯ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি

আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:২৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বালুচাপা দেওয়া অজ্ঞাতপরিচয় লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে।  বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়া গ্রামের একরামুল হকের একমাত্র ছেলে মোরশেদুল হক। 

সে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর নদীর তীর থেকে বালুচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশবাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। মামলার ৯ দিনেও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এখনো কোনো ক্লু  করতে পায়নি পুলিশ।

জানা গেছে, উপজেলার ওই ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়া গ্রামের একরামুল হকের একমাত্র ছেলে মোরশেদুল হক পেশায় একজন বাস শ্রমিক ছিল। এ জন্য তিনি বাড়ির বাইরে বেশির ভাগ সময় অবস্থান করতেন। যখন বাড়িতে আসতেন জুয়ার আড্ডায় মেতে থাকতেন। গত ২৪ আগস্ট মোরশেদুলের মোবাইল ফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই ফোন পেয়ে সে রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেই থেকে আর বাড়িতে ফেরেনি। মোরশেদুল খোঁজ না পাওয়ায় তার বাবা একরামুল হক ২৬ আগস্ট থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করে। ২৭ আগস্ট দুপুরে উত্তর দুরাকুটি   কারবালার ডাঙ্গার পূর্ব পার্শ্বের ধাইজান নদীর তীর থেকে বালুচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় লাশের পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশবাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় দুজন ব্যক্তিকে থানায় এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু মামলা দায়েরের ৯ দিনেও পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে না পাড়ায় মোরশেদুলের বাবা-মাসহ আত্মীয় স্বজনরা নিরাশ হয়ে পড়েছে। 

নিহতের মা মোরশেদা বেগম জানায়, পুলিশের তৎপরতা লক্ষণীয় হলেও ঘাতকদের চিহিৃত করার বিষয়ে কোনো প্রকার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না। ফলে আমার ছেলে হত্যার বিচার নিয়ে শঙ্কিত রয়েছি।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোরশেদুল খুনের তদন্ত অব্যহত রয়েছে। খুনের মোটিভ উদ্ধারসহ আসামিদের কিছু দিনের মধ্য ধরতে পারব বলে আশা করছি। 

ইত্তেফাক/পিও