পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নুরুজ্জামান ওরফে নুর আলম (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি জেলার বোদা উপজেলার বকশিগঞ্জ গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া বিওপির মেইন পিলার ৭৫২ এর ২ সাব পিলার সংলগ্ন মোমিনপাড়া এলাকায় বাংলাদেশি ভূখণ্ড থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, নূর আলমসহ একটি দল গরু নিয়ে ভারত থেকে ফিরছিল। এ সময় বেরুবাড়ি বিএসএফ সীমান্ত ফাঁড়ির টহল দলের সদস্যদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও টানা হেঁচড়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিএসএফ গুলি চালালে নূর আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নূর আলমের লাশ মোমিনপাড়ায় এক চা বাগানের পাশে ফেলে রাখা হয়।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নুর আলমের লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
হাড়িভাসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী জানান, বুধবার রাতে ৪/৫ বার গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। রাতে বের হবার সাহস পাইনি। পরে সকালে অনেকের কাছে শুনতে পাই নুর ইসলাম বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, গুলিতেই নূর ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তার বাম চোখের নিচ দিয়ে গুলিটি লেগে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে একদল চোরাকারবারি তাদের টহলদলের ওপর হামলা চালালে তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। তবে কেউ মারা গেছে কি না তা নিশ্চিত করেনি। বিজিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।