উপমহাদেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও গবেষক হযরত খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহর দর্শন সকলকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শনিবার (৯ আগস্ট) খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট-এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট মিলনায়তনে ‘খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা এর শিক্ষা, সমাজ সংস্কার, সাহিত্য ও আধ্যাত্মিক ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহর অসাম্প্রদায়িক, মানবিক মূল্যবোধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের দর্শনের কথা। এই উপমহাদেশে শিক্ষার প্রসার ও সমাজ সংস্কারে তার অসাধারণ অবদান রয়েছে। তিনি সমাজের সকল ধর্ম ও গোত্রের মানুষকে সমভাবে সেবা প্রদান করেছেন ও ভালোবেসেছেন। সমাজে যে উগ্র ধারা রয়েছে তাকে দমন করার জন্য খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহর সুফিবাদী চিন্তাদর্শন ভূমিকা রাখবে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রীতিময় সমাজ বিনির্মাণে খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহর অবদান ও তার জীবনকর্ম মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ, বেকার হোস্টেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বাংলার মুসলমান সম্প্রদায়ের পক্ষে নাথান কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে ভবিষ্যতে অধিকতর গবেষণা হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. এএফএম রুহুল হক এমপি, ঢাবি দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তফা আবুলউলায়ী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার আশুতোষ (চেয়ার) অধ্যাপক ড. অমিত দে, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ ও খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট-এর মহা-পরিচালক এএফএম এনামুল হক। সেমিনারে দেশ-বিদেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।