বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি মামলায় ১৩ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:১৩

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতি মামলায় ১২ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে চারজনকে।
 
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাসুদ আলী আসামীদের উপস্থিতিতে ওই রায় দেন। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডুর গ্রামের ছোট আলীর ছেলে কবির হোসেন, একই উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সোলেমান হক, একই গ্রামের মেহের আলীর ছেলে বকুল মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খাঁ পুরন্দপুর গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা, জীবননগর উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে রহম আলী, একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আরজ আলী, আখের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন, খালেক মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া, সীর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান, একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে তবি মিয়া। এদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন আব্দুল হান্নান নামে এক আসামি।

বেকসুর খালাস পেয়েছেন জীবননগর উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আখের আলী, একই গ্রামের মৃত হাজারী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত রহিম মণ্ডলের ছেলে হায়দার আলী ও ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে সোহেল রানা।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল গভীর রাতে জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডুর গ্রামের চান মিয়া ব্যাপারীর ছেলে নুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাণ্ডব চালায় অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন মুখোশধারী ডাকাত দল। এ সময় তার ঘরে থাকা স্টিলের বাক্স থেকে নগদ ২৩ হাজার টাকা, বিছানার নিচ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা, তার স্ত্রীর কানে থাকা ১০ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ আনা ওজনের একজোড়া সোনার দুল এবং তার চাচাতো ভাই কবির হোসেনের বাড়ির শোকেজ থেকে নগদ ৭ হাজার ৩০০ টাকা ডাকাতি করে তারা। পরে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল ১৭ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মহব্বত আলী। পরে ১৭ জনের মধ্যে ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
 
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন জানান, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামীপক্ষের আইনজীবী ফজলে রাব্বী বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। 

ইত্তেফাক/পিও