বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার মার্কিন দূতাবাসে যাওয়া পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তিনি বলেন, আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে তাকে (এমরান) জায়গা দেওয়া ঠিক হয়নি। তার সপরিবারে যাওয়া পূর্বপরিকল্পিত ছিল তা প্রমাণ হয়েছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের উত্তর হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, মার্কিন দূতাবাসে এমরান নিজ উদ্যোগেই গিয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য সেখানে গিয়েছিল। কারও চাপে বা কারও কারণে গিয়েছে, এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি।
তিনি বলেন, যে বিবৃতি উনি (এমরান) দিয়েছেন, এটি পুরোপুরি আইনের লঙ্ঘন। উনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে থেকে এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন না। তার উদ্দেশ্যটা খারাপ ছিল। বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য এটি করেছেন।
এমরানকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। প্রথমে যখন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তখন সে বলেছে ভয়ভীতি নেই এবং কেউ তাকে চাপ দেয়নি। পরবর্তীতে কী ঘটেছে, এখন পর্যন্ত তা বলেনি।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসের মামলা স্থগিতে বিশ্বনেতাদের খোলাচিঠির প্রতিবাদে বিবৃতিতে সই না করা বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া সপরিবারে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় চেয়েছেন।
গণমাধ্যমকে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় তিনি বলেছিলেন, মার্কিন দূতাবাসে সপরিবারে আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে।