নেত্রকোনায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শহরকে গ্রাস করেছে। পায়ে চালানো রিকশার স্থান দখল করে এসব অটো রিকশা দাপটের সঙ্গে চলছে শহর ও গ্রামগঞ্জের সড়কে। আর এ কারণে নেত্রকোনায় যানজটের কবলে পড়ছে পৌরবাসী।
একসময় জেলা শহরে শুধু পায়েচালিত রিকশা যাত্রী নিয়ে চলাচল করত। গত কয়েক বছরে শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আসতে থাকে এবং জেলা শহরে প্রায় ৪ হাজার অটোরিকশা চলত। কিন্তু জনগণের চাপে পৌরসভা শহর থেকে ৮০০ অটোরিকশা কমিয়ে দিয়েছে। আর এসব অটোরিকশার দুইটি রং—লাল আর সবুজ করা হয়েছে। এক দিন চলবে লাল রং করা অটো এবং পরদিন চলবে সবুজ রং করা অটো। এ নিয়ম মানতে কঠোর ব্যবস্থা নিলেও শহরের বাইরে থেকে অর্থাৎ ইউনিয়নের অনেক অটো পৌর এলাকায় ঢুকে দিনদিন যানজট তীব্রতর করছে।
অটোচালক তাহের মিয়া বলেন, অতিরিক্ত অটো হওয়ায় যানজটও বেড়েছে। পৌরসভা থেকে নিয়ম করে দিলেও অনেকে সেই নিয়ম মানছেন না। ইঞ্জিনচালিত রিকশাচালক মজিবুর বলেন, ‘পায়েচালিত রিকশা কমে গেছে অটোর কারণে। তাই আমরাও রিকশায় ইঞ্জিন লাগিয়ে চালাচ্ছি। কিন্তু অটোতে যাত্রী তোলে আট জন, আর রিকশায় উঠতে পারেন মাত্র দুই জন।’ এতে তাদের আয় কম।
অটোতে চলেন, এমন যাত্রী শিমুল মিলকী বলেন, ‘পৌরসভা থেকে এক দিন পরপর লাল ও সবুজ রঙের অটো চলবে—নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। এতে কিছুটা যানজট কমলেও বড় ধরনের কোনো উন্নতি হয়নি। যানজট আগের মতোই। তবে যানজটের সমস্যা নিরসন করতে হলে শহরের প্রতিটি সড়কের মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’
পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান বলেন, ইতিমধ্যে নতুন লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। বেআইনিভাবে রিকশা বা অটো চলাচলেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বেআইনি যান চলাচল বন্ধের জন্য প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ তবে জনগণ অবিলম্বে শহরকে যানজটমুক্ত করতে বেআইনি অটো বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।