ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এবং কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নয়নপুর এলাকা দিয়ে চোরাই পথে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি আসছে। সেসব চিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার ও বাঙ্গরা বাজার এলাকা থেকে বিক্রি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। অবৈধভাবে এসব চিনি আসায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি চোরাকারবারি চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে এসব চিনি ক্রয়-বিক্রয়। চক্রটি প্রতিদিন কমপক্ষে শতাধিক পিকআপে করে অবৈধ পথে নিয়ে আসা এসব চিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলার দেবীদ্বার, তিতাস, মেঘনা, হোমান, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করছেন।
অন্যদিকে দেশের বাজারের তুলনায় দাম কমে পাওয়ায় এ চিনির কারবার বেড়েই চলেছে এবং স্থানীয় বাজারসহ জেলার অধিকাংশ বাজারে ঐ চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের। স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা বলছে, এতে একশ্রেণির মানুষ লাভবান হলেও দেশীয় চিনিশিল্প হুমকির মুখে পড়ছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এ চোরাচালান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মানিক পোদ্দার নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের চিনির তুলনায় ভারতীয় চিনি প্রতি বস্তায় ৭০০-৮০০ টাকা ব্যবধান হওয়ায় দেশীয় চিনি কেউ এখন আর কিনতে চায় না। কেউ কেউ আবার ভারতীয় চিনির বস্তা পরিবর্তন করে দেশীয় চিনি বলে বেশি দামে বিক্রি করছে। বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলার সব বাজারের চিনি মানেই ভারতীয় চিনি, দেশীয় চিনির কোনো অস্তিত্বই নেই এখন বাজারে।
মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল ও বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা চিনির ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সত্যি হলে অচিরেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’