শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মূলত, পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপা কেন্দ্র করেই এ ঘটনার সূত্রপাত।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নাগদা শিমলা ইউনিয়নের এম হোসেন আলীর মেয়ে সানজিদা আফরিন নিপা। ৩১ বিসিএস ব্যাচের এই কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী। তার বড় বোন পেশায় একজন ডাক্তার।
তিনি ২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন সানজিদা। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগদান করেন।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় এডিসি সানজিদা গণমাধ্যমকে জানায়, হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করা হচ্ছে। হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই। আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়। আমি ইসিজি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটায় দেখতে পাইনি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগীরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।