হিন্দি চলচ্চিত্র ইস্যুতে আপনি তো একাই প্রতিবাদ করছেন? আপনাদের অন্যান্য সংগঠনের কেউ নেই আপনার সাথে? কেন?
— সেটা তো আমি জানি না। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে...। আমি কারও জন্য অপেক্ষা করি না। কে আমার সাথে এলো না এলো সেটি বিষয় না। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি একাই এই দেশের সংস্কৃতির জন্য লড়ে যাবো।
কিন্তু এই মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যেখানে সব দেশের ছবি বিভিন্ন প্লাটফর্মে দর্শক দেখতে পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে হলিউডের ছবির সাথে একইদিনে রিলিজ পাচ্ছে, সেখানে হিন্দি ছবি নিয়ে আপনার বক্তব্য শুনতে চাই—
— আমি নিয়ম পরিবর্তনের জন্য বলেছি। আমি তো বলিনি হিন্দি ছবি আসবে না। কিন্তু আমাদের ছবির শিডিউলে কেন? একটা ফ্রি টাইমে রিলিজ দেওয়া হোক। এখন আমাদের ৫০/৬০ লক্ষ টাকার একটি ছবির সাথে ১০০/২০০ কোটির ছবির কোনো ফাইট চলে? আপনিই বলুন?
জওয়ান ছবিটি নিয়ে আপনার প্রতিবাদ কোন যুক্তিতে?
— ছবিটি কেন আমাদের দেশের ছবির সাথে রিলিজ দেয়া হলো। আর এটিও হতো না। মুশফিকুর রহমান গুলজার যদি তার শিডিউল না ছেড়ে দিতো। সে আমার সাথে কমিটমেন্ট করেও কি উদ্দেশ্যে নিজের শিডিউল ছেড়ে দিয়েছে। আর একটি হিন্দি মিশ্রিত উর্দু ছবির পক্ষে আমি কেন কথা বলবো? আমাকে প্রতিবাদ করতেই হবে।
কিন্তু জওয়ান তো হিন্দি ভাষার ছবি?
— কে বলেছে আপনাকে? এসব ছবির অধিকাংশই কিছু হিন্দি মিশ্রিত উর্দুভাষার। যাই হোক, আমি কোনো ছবির বিরুদ্ধে না। কিন্তু ছবিটি অন্য শিডিউলে দেওয়া যেত। আমি মন্ত্রণালয়ে আলাপ করেছিলাম, ছবিটির তারিখ পেছানোর জন্য। কিন্তু সেখান থেকে আমাকে বলা হয়, আগে আপনাদের ১৮টি সংগঠনের চিঠি সরিয়ে নিতে বলেন। তারাই তো পক্ষে লিখেছেন।
আপনার ‘সুজন মাঝি’ ছবিটি নিয়েও তো শিল্পীদেরও তেমন ক্যাম্পেইন দেখা গেল না!
— না, আমি ঐসব নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে হলে হলে দৌড়ানো ক্যাম্পেইনের পক্ষে না। এসব আমার কাজ না। এসব আমরা কোনোদিন করিনি।
‘চানাচুরওয়ালা’ নামে আপনার আরও একটি ছবি আসছে শুনলাম। সেই ছবিটির কাজ কবে শুরু করবেন?
— করবো হয়তো। সামনে আর দুটি ছবি করেই আমি অবসর নেবো। নির্মাণে আর কাজ করবো না। কারণ অনেক তো হলো। শরীরে এত পরিশ্রম সাপোর্ট দেয় না। তখন শুধু চিত্রনাট্য লিখবো। তবে চলচ্চিত্রের সাথে আমার আমৃত্যু সম্পর্ক থাকবে। আজীবন কাজ করে যাবো। নির্মাণ যেহেতু অনেক শারীরিক পরিশ্রমের কাজ। তাই অবসর নেবো।