ইউক্রেনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর কিয়েভ এবং লভিভের প্রধান ঐতিহাসিক কিছু স্থাপনাকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে স্থাপনাগুলো ধ্বংসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জাতিসংঘের ঐতিহ্য সংস্থা ইউনেস্কো বলেছে। খবর বিবিসির।
এই তালিকায় রয়েছে রাজধানী কিয়েভের আইকনিক সেন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রাল এবং শহরের কিয়েভ-পেচেরস্ক লাভরা মঠের মধ্যযুগীয় ভবন। এছাড়াও লভিভ শহরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রটিও তালিকায় স্থান পেয়েছে।
ইউনেস্কো বলেছে, স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করার শর্ত পূরণ করা যায়নি। সরাসরি আক্রমণের ঝুঁকির সম্মুখীন এই স্থাপনাগুলো দুটি শহরে বোমা হামলার কারণে সৃষ্ট শকওয়েভের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।’
তালিকায় স্থান পাওয়া স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় এগিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছে ইউনেস্কো।
রাশিয়া জাতিসংঘকে আশ্বস্ত করেছে যে তার সশস্ত্র বাহিনী ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে ‘প্রয়োজনীয় সতর্কতা’ নিচ্ছে।
ইউক্রেনকে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে বিশ্বে তার শস্য রপ্তানি করার অনুমতি দিয়ে একটি চুক্তির পতনের পর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওডেসায় প্রচণ্ড বোমা হামলা করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে বোমা হামলার জন্য মাঝে মাঝে ইউনেস্কো রাশিয়ার সমালোচনা করেছে। জুলাই মাসে সংস্থাটি লভিভের ঐতিহাসিক পুরাতন শহরের ঠিক বাইরে একটি ভবনে বোমা হামলার নিন্দা করেছিল।
শহরটি মধ্যযুগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৩ শতক থেকে ২০ শতক পর্যন্ত প্রশাসনিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে এর বেশিরভাগ স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। এটি ১৯৯৮ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়।
সেন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রাল ১১ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং আধুনিক তুরস্কের হায়া সোফিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি তৎকালীন কনস্টান্টিনোপলের অংশ ছিল।
বর্তমানে ইউনেস্কোর বিপদ তালিকায় ৫০টির বেশি স্থাপনা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য স্থপনার মধ্যে রয়েছে জেরুজালেমের ওল্ড সিটি, ভিয়েনার ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ সুমাত্রার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট।