ঈশ্বরদীতে রাতের আঁধারে সংঘবদ্ধভাবে বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। মিটার চুরির পর সেখানে চোরের মোবাইল নম্বর রেখে যাওয়া হচ্ছে। রেখে যাওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে বলা হয় টাকা দিলে মিটার মিলবে। দেওয়া হয় বিকাশ নম্বর। বিকাশে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা দিলেই মেলে মিটারের সন্ধান। ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া, বহরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কিছুদিন যাবত ঘটেছে এমন ঘটনা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সকালে বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় ভেবে নেওয়া হয় লোডশেডিংয়ের ঘটনা। প্রতিবেশীদের বাড়িতে বিদ্যুৎ দেখে বোঝা যায় ঘটনা ভিন্ন। পরে মিটারের স্থানে দেখা যায় মিটার নেই। রয়েছে কাগজে মোড়ানো মোবাইল ফোনের নম্বর। এই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, মিটারটি চুরি করা হয়েছে। ফিরে পেতে দিতে হবে ৫-৭ হাজার টাকা। ভুক্তভোগীদের অনেকেই চোরদের পাঠানো নম্বরে টাকা দিয়ে ফিরে পেয়েছেন মিটার। যারা টাকা পাঠাননি, তাদের মেলেনি মিটারের খোঁজ। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মিটার চুরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। চাটমোহর পল্লী বিদ্যুতের (কারিগরি) সদর দপ্তরের সুহেল আক্তার বলেন, সারা দেশেই মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
দাশুড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালে সমিতির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনকেও অবগত করেছি।’ ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’