রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

তিন মাস ধরে বেতন পান না ডাক্তার ও নার্সরা

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩০

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬২ জন নার্স-ডাক্তারের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) পদ শূন্য থাকায় গত তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ জন ডাক্তার ও ৪০ জন নার্স কর্মরত আছেন। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল পদোন্নতিজনিত বদলি হয়। তিনি গত ২৫ জুন হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. খন্দকার আমিনা নুসরাত জাহান (ইপি)-এর কাছ তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নতুন কর্মস্থলে চলে যান। এরপর ঐ শূন্য পদে নতুন কোনো কর্মকর্তা যোগদান না করায় প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দেয়। মেডিক্যাল অফিসার নুসরাত জাহানকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাকে আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। ফলে তার স্বাক্ষরে অফিশিয়াল অন্যান্য কাজ হলেও বেতন উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ডাক্তারদের চার মাস ও নার্সদের মধ্যে কারো তিন মাস কারো দুই মাস যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলামের গত ২৩ জুলাই তারিখে স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানা যায়, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার বিভারানী বাড়ৈসহ একাধিক নার্স জানান, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ আমরা মোট ৪০ জন নার্স এ হাসপাতালে কাজ করি। এদের মধ্যে কেউ তিন মাস আবার কেউ দুই মাস ধরে বেতন পায় না।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার আমিনা নুসরাত জাহান (ইপি) বলেন, নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ডিজি বরাবর আবেদন পাঠিয়েছি। আশা করি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের কাছে রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান না করার কারণ জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অন্য জায়গায় বদলি হয়েছি। 

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, আগের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন কর্মকর্তা আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

ইত্তেফাক/এমএএম