রাজধানীর ডেমরায় পুলিশের ছোড়া গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ঐ যুবকের নাম মিনহাজিন আবেদীন (২৭)। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব গতকাল শনিবার বলেন, শুক্রবার রাত ১০টায় আড়াইহাজার এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সজীব নামের এক ব্যক্তি ঢাকার ডেমরার বামৈল এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে রাত সাড়ে ৪টার দিকে ডেমরা থানা-পুলিশকে জানিয়ে সজীবকে গ্রেফতার করতে আড়াইহাজার থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ওসি ইমদাদুল ইসলাম দাবি করেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সজীবসহ অন্যরা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। পুলিশ তখন আত্মরক্ষার্থে একটি গুলি করলে সেটি বাড়ির মালিকের ছেলে মিনহাজিন আবেদীনের পায়ে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মিনহাজিন আবেদীনের ‘স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়’, এমন দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তিনি মাদক সেবন করেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিনহাজিন সাংবাদিকদের বলেন, ১০ দিন আগে সজীব নামের ঐ ব্যক্তি তাদের বাসা ভাড়া নেন। গভীর রাতে বাসায় পুলিশ আসার পর তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ গুলি করে। সেটি তার ঊরুতে লাগে। মিনহাজিনের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার বলেন, তার স্বামী মাদক সেবনসহ কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তার শ্বশুর আমেরিকা প্রবাসী।
গুলিবিদ্ধের এ ঘটনায় ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে ডেমরা এলাকায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা-পুলিশ আসামি গ্রেফতারের সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, আড়াইহাজার থানাধীন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মাহবুব নামের এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। এছাড়া একই এলাকায় আহসান নামের এক ব্যক্তির দামি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ দুটি ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে সজীব নামের এক ব্যক্তির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তখন তাকে ধরতে ডেমরার বামৈল এলাকায় অভিযানে গেলে পুলিশ সদস্যদের ওপর রড, দা-বঁটি দিয়ে হামলা করেন হাসিবুল, নাইম ও মিনহাজিন।
আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে মিনহাজিন গুলিবিদ্ধ হন। হাসিবুল ও নাইমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত সজীবকে পাওয়া যায়নি।