যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একমাত্র ছাত্র হল শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে রুমের তালা ভেঙে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে হলটির ৫২৫ নং কক্ষে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলের ৫২৫ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শামীম হক হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শামীম হক বলেন, আজ সকাল সাড়ে দশটার সময় আমি ক্লাস করার উদ্দেশ্যে রুমে তালা দিয়ে বের হই। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে আমার রুমমেট বাইরে থেকে এসে হলের রুমে প্রবেশের সময় রুমের দরজা খোলা অবস্থায় পায় এবং সেখানে কোন তালা পাওয়া যায়নি। তারপর রুমে প্রবেশের সময় টেবিলের ওপর রাখা ল্যাপটপ পাওয়া যায়নি। আমার রুমমেট তাৎক্ষণিক আমাকে ফোন দিয়ে জানালে আমি রুমে গিয়ে দেখি আমার ল্যাপটপ নেই। এমতাবস্থায় আমার সকল শিক্ষা কার্যক্রম এবং গবেষণা হুমকির মুখে পড়েছে।'
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রশাসনের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ল্যাপটপ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
চুরির ঘটনায় শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, দিনের বেলায় রুমের তালা ভেঙে হল থেকে চুরি হলে এর দায় কার? আমরা তো রুমে তালা দিয়ে ক্লাসে চলে যাই। রুমের জিনিস পত্র দেখার জন্য তাহলে কি আমাদের নিজেদের পাহারাদার রাখতে হবে? এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনা গেলে এরকম চুরির ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জন্য হল প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, 'ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তিনি আরও বলেন, হলের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটায় হল প্রভোস্ট হিসেবে আমি বিব্রতবোধ করছি। সিসি ক্যামেরার অপ্রতুলতার কারণে হলের প্রধান কিছু অংশে ক্যামেরা থাকলেও চুরির ঘটনার সময়ে পাঁচ তলায় কোন ক্যামেরা ছিল না তাই এ বিষয়ের কোন ফুটেজ পাওয়া যায়নি।'