প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোনায়েম হোসেন জেম্সের বিরুদ্ধে মিথ্য তথ্য উপস্থাপন করে কিডনি বিক্রির সংবাদ প্রচারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গুরুদাসপুরের একটি ভুক্তভোগী পরিবার।
সম্মেলনে নজরুল ইসলাম (৩০) ও তার মা ছবেলা বেগম (৫৫) অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কিডনি বিক্রি সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চান। কিডনি বিক্রি সম্পর্কে তারা না জানার কথা জানালে ওই ব্যক্তিরা তাদের মনগড়া কথা শিখিয়ে দেন। একপর্যায়ে ক্যামেরার সামনে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোনায়েম হোসেন জেম্স কিডনি বিক্রির সাথে জড়িত আছে এমন কথা বলতে বলেন। ভয়ে তারা শেখানো কথা বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা জেম্স নামের কাউকে চেনেন না।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিডনি বিক্রি চক্রের সদস্য আব্দুর রশিদের স্ত্রীর মুখে টাকা দিয়ে কিডনি বিক্রির কথা জানতে পারেন তিনি। সংসারে অভাব অনটন থাকায় তিনি আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু আর হয়ে উঠেনি। এর মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি কিডনি বিক্রির ব্যাপারে তাকে বক্তব্য দিতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি ওই ব্যক্তিদের শেখানো কথা ক্যামেরার সামনে বলেন। প্রকৃতপক্ষে ক্যামেরার সামনে তিনি যা বলেছিলেন, তা সঠিক নয়।’
এসব অভিযোগ এনে রোববার সন্ধ্যায় চাঁচকৈড় বাজারের একটি অফিস কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। নজরুল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার শাহপুর মধ্যপাড়ার নজির উদ্দিনের ছেলে এবং ছবেলা বেগম নজির উদ্দিনের স্ত্রী।
তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোনায়েম হোসেন জেম্স মোবাইল ফোনে দাবি করেন, ‘কিডনি বিক্রির কথা আমি এর আগে শুনিনি। মূলত প্রতিপক্ষরা আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচার করা হয়েছে। আমাকে জড়িয়ে উপস্থান করা তথ্যের অংশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।