এশিয়া কাপের ফাইনালে গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছেন সিরাজ। স্বল্প রানে লঙ্কানদের বেঁধে তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেটও। তাই অনুমেয়ই ছিল যে, ফাইনালে সেরা পুরস্কারটা উঠতে যাচ্ছে ২৯ বছর বয়সী এই পেসারের হাতে, হলোও তাই। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার হাতে উঠে ম্যাচ সেরার ৫ হাজার ইউএস ডলারের চেক (বাংলা টাকায় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫০ টাকা)। আর এই পুরো টাকাটাই কলম্বোর মাঠকর্মীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন সিরাজ।
রবিবার ফাইনালে মাত্র ৫০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আর এতে সব থেকে বড় অবদান সিরাজের। ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টারকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি সাধারণত ক্রস সিমে বল করি। কিন্তু এই ম্যাচে সিম ধরে বল করছিলাম। তাই ইনসুইংয়ের থেকে আউট সুইং বেশি হচ্ছিল। সেটাই কাজে লাগিয়েছি। বেশির ভাগ ব্যাটার আউট সুইংয়ে আউট হয়েছে। উইকেট থেকেই সব হচ্ছিল। বল সুইং করছিল। তাই আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। শুধু ব্যাটারের ব্যাটের কাছে বল করার চেষ্টা করেছি। তার পরে বাকি কাজ পিচ করেছে। ব্যাটারদের খেলানোর চেষ্টা করেছি। তাতেই সফল হয়েছি।’
এসময় মাঠকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানাতে ভুলেননি সিরাজ। কারণ ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে বৃষ্টির কারণে ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। শুধু ফাইনাল নয়, এবারের আসরে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়া প্রায় সব ম্যাচেই ছিল বৃষ্টির চোখ রাঙানি। তবে মাঠকর্মীরা তা দারুণ দক্ষতায় সামাল দিয়েছে একটি ম্যাচ (ভারত-পাকিস্তান) বাদে সব কয়টি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে বৃষ্টির পরও। তাই সিরাজের চোখে ওরাই নায়ক। তাই নিজের ম্যাচ-সেরার পুরস্কার তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার কলম্বোর মাঠকর্মীদের প্রাপ্য। তারা না থাকলে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করাই যেত না। তাই এই টাকা তাদের হাতে তুলে দিতে চাই।’
এদিকে শুধু সিরাজ নয়, মাঠ কর্মী ও কিউরেটরসরা পুরস্কার পাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) থেকেও। গতকাল তাদেরকে ৫০ হাজার ইউএস ডলার (বাংলা টাকায় প্রায় ৫ কোটি ৪৭ লাখের বেশি) পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক পোস্ট করেছেন এসিসি প্রধান জয় শাহ। সেখানে তিনি লিখেন, ‘তাদের কথা খুব একটা বলা হয় না। কিন্তু তারাই এখানে আসল নায়ক। তাই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড ঠিক করেছে যে, কলম্বো এবং ক্যান্ডির পিচ প্রস্তুতকারক এবং মাঠকর্মীদের ৫০ হাজার ডলার দেওয়া হবে।’