শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চিকিৎসার নামে এমএলএম এর ফাঁদে হাজারো মানুষ

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:২০

মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে তিয়ানশি (এমএলএম) কোম্পানি ওষুধ বিক্রি করার মাধ্যমে বহু বেকার তরুণ তরুণীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জাজিরা পৌরসভার মাইনুল ইসলাম রোডের, শাহী মসজিদের পাশে পৌরসভা থেকে কসমেটিক্স পণ্য প্যাকেজিং ও মার্কেটিংয়ের ব্যবসার নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তিয়েনশির ঔষধ বিক্রির অফিস খুলে বসেছে মিনারা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

তিয়ানশির এমএলএম এর পণ্য

জানা যায়, বিশেষজ্ঞ কোনো ডাক্তার নেই, তবুও তারা বিক্রি করে আসছেন জটিল ও কঠিন রোগের ঔষধ। তাদের দাবী নিজেরা প্রথমে এই ঔষধ খেয়ে উপকৃত হয়েছেন, তারপর ঔষধ গুলো বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করে আসছেন তারা। প্রতিটি ঔষধের মূল্য ধরা হয়, ৯-১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসব ঔষধ কিনলে ক্রেতাকে নিতে হবে ডিলারশিপ। এরপর ক্রেতার এসব ঔষধ আরও দু'জনের কাছে বিক্রি করতে হবে। তারা আবার তাদের মতো করে আরও দু'জনের কাছে বিক্রি করবেন। এরপর বিক্রিত এসব ঔষধ থেকে পাবেন কমিশন।

এ বিষয়ে এমএলএম ব্যবসায়ের ডিলারশিপ অফিসের পরিচালক (ডিস্ট্রিবিউটার্স) মিনারা আক্তারের (২১) সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হেড অফিসে থাকে আমাদের কাছে থাকে না, আমরা জোর করে কোন পণ্য বিক্রি করি না যার মন চায় সে নিবে।

ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি জানায়, প্রথমে তাদের বলা হয় এখানে টাকা দিয়ে পণ্য কিনতে। যতো টাকা দিবে তার সমান মূল্যের পণ্য তারা পাবেন। এবং তাদের রেফারেন্সে কোনো ব্যাক্তি পণ্য কিনলে পাবেন তারও কমিশন। দেয়া হবে বেতন ভাতাও। তবে পণ্য বলতে দেয়া হয় ক্যালসিয়াম ঔষধ, টুথপেষ্ট ও ব্রেসলেট। যার মূল্য ধরা হয় ১৮-২০ হাজার টাকা। বাইরে তা পাওয়া যায় মাত্র একশো থেকে দেড়শো টাকায়। তাছাড়া ঔষধ গুলোর কোনো অনুমোদন নেই। এগুলো শরীরের ক্ষতি করবে কি না জানেন না তারা। এবং একবার টাকা দিলে আর ফিরত দেয়া হয়না টাকা। মানা হয়না কোনো পূর্বশর্ত।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান সোহেল বলেন, এ বিষয়ে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

ইত্তেফাক/এমএএম