গত কয়েক দিন থেকেই নিজেদের বধির পরিচয় দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চেম্বারে চেম্বারে ঘুরে টাকা তুলছে কয়েকজন পুরুষ ও এক নারী।
‘সিলেট বধির সংঘ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাড তাদের হাতে। কারো কাছ থেকে ১০০ টাকা, কারো কাছ থেকে ৫০০ টাকা তুলছে তারা। ২৭০ জন বোবা ছেলে ও ৫০ জন বোবা ও প্রতিবন্ধীদের খেলার সরঞ্জামাদি ও সেলাই যন্ত্র কিনে দেওয়ার সাহায্য চেয়ে তারা টাকা তুলছিল।
টাকা দানকারী ব্যক্তির নাম ও টাকার অঙ্কটি তারা লিখে রাখছে একটি কাগজে। এভাবে তারা বিভিন্ন অফিসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাকা সংগ্রহ করছে। কিন্তু কার্যালয় থেকে বের হয়েই তারা টাকার অঙ্কটি বদলে নিচ্ছে কলমের নিখুঁত টানে। ১০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে ১১০০ টাকা, ২০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে ২২০০ টাকা। পরবর্তীকালে আরেকটি চেম্বারে গিয়ে যখন তারা টাকা সাহায্য চায় তখন পূর্ববর্তী শিক্ষক বা কর্মকর্তার সামনে মিথ্যে টাকার অঙ্ক সংবলিত কাগজটি তারা প্রকাশ করে এবং আরও বেশি পরিমাণ চাঁদা দিতে বাকিদের অনুপ্রাণিত করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এই দলের তিন সদস্যকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। বধির সংঘের নামে চাঁদা তোলা তিন ব্যক্তিকে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম লিখতে বলা হলে তারা সেটা লিখতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রথমে লিখতে জানে না বলে। পরে চাপ প্রয়োগের পর তারা নিজেদের নাম কাকুলী, সাইফুল হক এবং ইমতিয়াজ কামরান বলে লিখে।