পশুপ্রেমী হিসেবে বেশ পরিচিতি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। পশুপ্রেমের জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন। সবসময় পশু-পাখির কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন তিনি। কথা বলেছেন পশু হত্যার বিরুদ্ধে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনায় কোনো পশুর মৃত্যু হলে কেঁদে ওঠে তার মন। এমন পশুপ্রেমীকে যদি ডাকা হয় পশুদের কল্যাণে গড়ে ওঠা কোনো প্রতিষ্ঠানে তাহলে কি তিনি না গিয়ে থাকতে পারেন?
পারবেন না। নির্দ্বিধায় চলে যাবেন সেখানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনটাই জানালেন জয়া। তিনি লেখেন, ‘প্রাণী অর্থাৎ পশুপাখির কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখাটা এই সমাজের একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে আমার দায়। সেই দায় ও ভালোবাসা থেকেই প্রাণিকুল অ্যানিমেল ওয়েলনেস সেন্টারের শুভ সূচনায় আমন্ত্রণ পেয়ে দ্বিধা করিনি এক মুহূর্ত।’
জয়া আহসানের চা্ওয়া প্রাণীদের কল্যাণে কাজ করবে এমন আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক। তিনি লেখেন, ‘দেশে নিশ্চই প্রাণীদের জন্য আরও অনেক এমন সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। কিন্তু প্রাণিকুলের পেছনে রয়েছে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকজন প্রাণিপ্রেমী। এটিই আমার কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। অর্থাৎ এই মানুষগুলো প্রাণীপ্রেমীদের কথা যেমন মাথায় রাখবেন, তেমনি প্রাণীদের জন্য সাধ্যমতো ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই বিশ্বাস আমার রয়েছে কারণ তারা আমার প্রাণী অধিকার আন্দোলনের সহযোদ্ধা।’
সবশেষ তিনি আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘এই শহরটা প্রাণীদের জন্য কুল হয়ে উঠুক আমাদের সবার ভালোবাসায়।’
গতকাল উদ্বোধন হয়েছে প্রাণীকুল অ্যানিমেল ওয়েলনেস সেন্টারের। কেক কেটে যাত্রা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাণীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, নানা ধরণের সার্জারি, ডায়াগ্নোস্টিক, ইন পেশেন্ট সুবিধা, গ্রুমিং, টেলিমেডিসিন থেকে শুরু করে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক সেবা ও প্রাণী পরিবহনের কাজও করবে তারা। এই প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন জয়া আহসান।