বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, চিরকুট নিয়ে ধোঁয়াশা

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মো. ফিরোজ কাজী রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। তার পড়ার টেবিল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুট ধোঁয়াশা সৃষ্টির মূল কারণ। নিহতের ভাইয়ের দাবি, চিরকুটের লেখা ফিরোজের হাতের লেখা নয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লক থেকে পড়ে যায় ফিরোজ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ফিরোজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।

ফিরোজের হলের ২০৩ নম্বর কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই, এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই। আমার মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ। (ফিরোজ রাত: ১১টা ৩)।’

পরের প্যারায় লেখা- আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইলো মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড ৮****। আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমারে লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি মামলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক! শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না। (ফিরোজ রাত: ১১টা ৫)।

নিহতের বন্ধুরা জানান, এ লেখাটা ফিরোজের হাতের লেখার মতোই তাদের মনে হচ্ছে।

তবে ফিরোজের লাশ নিতে আসা বড় ভাই জানান, তার এবং ফিরোজের লেখা প্রায় একই। চিরকুটে থাকা এই লেখাটা ফিরোজের হাতের লেখা নয়।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ফিরোজের লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা কিনা তা এখনি বলা যাচ্ছে না। বিজয় একাত্তর হল প্রশাসন এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আসলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

ইত্তেফাক/এবি