সেরা শক্তির দল নিয়ে আসেনি ঠিক। তবে নিউজিল্যান্ডের এই দলের পেস আক্রমণও ভয়ংকরই। ট্রেন্ট বোল্ট, অধিনায়ক রকি ফার্গুসন, কাইল জেমিসন, অ্যাডাম মিলনে ও ব্লেয়ার টিকনার-চার জন পেসার রয়েছেন দলটিতে। ম্যাচ এবং সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সবার আগে জিততে হবে কিউইদের এই পেস আক্রমণের বিপক্ষে। তা লিটন কুমার দাসরা নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণ সামলানোর কেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন?
প্রশ্নটা গতকাল সরাসরি লিটন দাসকেই করা হয়েছিল, মিরপুরে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরে লিটন বলেছেন, তারা নাকি বিষয়টি নিয়ে ‘মাইন্ড গেম’ খেলেছেন। বলেছেন, ‘কাজ করার সুযোগ তো নেই। যা করার মানসিকভাবেই করতে হয়েছে, মাইন্ড গেম খেলতে হয়েছে।’ তা কিউইদের পেস আক্রমণের বিপক্ষে লড়াইয়ে জিততে কী মাইন্ড গেম খেলেছেন তারা? তা খোলাসা করেননি লিটন। তবে সফলতা প্রাপ্তির বিষয়ে আশাবাদী তিনি, ‘দেখি, কতটুকু সফল হওয়া যায়। টেকনিক্যালি তো কিছু করতে পারিনি, গত কিছুদিন ধরে অনুশীলনই করতে পারিনি। এটা মানসিকতার খেলা।’
কিউইদের পেস আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও স্পিনের বিষয়ে তা করা হয়নি। তবে লিটন ঠিকই প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে কিউইদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে কথা বলেছেন। কিউই দলে স্পিনারের ছড়াছড়ি। ঈশ সোধি, রাচিন রাভিন্দ্র, ডিন ফক্সক্রফট, কোল ম্যাকেঞ্জি তো আছেনই, উইল ইয়ং, হেনরি নিকোলসরাও হাত ঘুরাতে পারেন। লিটন দাস সেটিই সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘ওদের স্পিনও ভালো। মানসম্পন্ন স্পিনারও কিন্তু আছে।’ প্রতিপক্ষের পেস আক্রমণ, স্পিন নিয়ে কথা তো হলো। কিন্তু মিরপুরের উইকেট কেমন হবে? উইকেটে কারা বেশি সহায়তা পাবে পেস বোলাররা নাকি স্পিনাররা? ব্যাটসম্যানদের জন্যই বা উইকেটে কতটুকু কী আছে? লিটন কিছু জানেন-ই না ‘জানি না ভাই। উইকেট সম্পর্কে এখনো কোনো ধারণা নেই। যা-ই হবে, দুই দলের জন্য তো একই হবে!’