প্রায় ১৫ বছর যাবত লেখালেখির পর গত মে মাসে নতুন এক্স-রে মেশিন পাওয়া গেলেও এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় গত চার মাস যাবত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে রোগীরা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশি খরচে এক্স-রে করতে বাধ্য হচ্ছেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯/০৪/৮৭ তারিখে প্রথম এক্স-রে ক্স-রে মেশিন সরকারি ভাবে সরবরাহ করা হয়। এক্স-রে মেশিনটি ০৯/০১/৮৮ তারিখে চালু করার ২০ বছর পর ১১/০৭/২০০৮ তারিখ থেকে অকেজো হয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস পর ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ান এসে মেশিনটি মেরামত যোগ্য নয় বলে মতামত দেয়। তারপর থেকে নতুন এক্স-রে মেশিনের জন্য শুরু হয় পত্র লেখালেখি। অবশেষে গত মে মাসে নতুন এক্স-রে মেশিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায়। কিন্তু নতুন মেশিন পাওয়া গেলেও এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় চার মাস যাবত হাসপাতালে আসা রোগীরা এক্স-রে সুবিধা পাচ্ছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার বলেন, আগের এক্স-রে মেশিন বিকল হওয়ার পর হাসপাতালের এক্স-রে টেকনিশিয়ানকে প্রেষণে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। তার প্রেষণ বাতিল করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে পুনরায় পদায়ন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রেষণ বাতিল করে পুনরায় পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়ণ দিলে এক্স-রে সেবা প্রদান করা যাবে।