বর্তমান সময়ে অভিনয় জগতে একজন অভিনেতা হিসেবে ইমতিয়াজ বর্ষণ ইতিমধ্যেই দর্শকের কাছে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। একের পর এক ভিন্নধর্মী চরিত্রের মাধ্যমে পর্দায় তার উপস্থিতি যেন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। অভিনেতা পরিচয়ের বাইরে চমৎকার গানও করেন বর্ষণ। নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেকের পর আর থেমে নেই তিনি। ছোট পর্দা, বড় পর্দা ও ওটিটি সব ক্ষেত্রেই অভিনয়ে দক্ষতার ছাপ রেখে চলেছেন এই অভিনেতা।
আজ এই গুণী অভিনেতার জন্মদিন। জন্মদিনে শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বর্ষণ। এরই ফাঁকে বন্ধু ও আপনজনদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করছেন। ফোনে শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো তার সঙ্গে।
শুভ জন্মদিন বর্ষণ। আজকের দিনে নিজেকে নিয়ে প্ল্যান কী?
অট্টহাসিতে ধন্যবাদ জানিয়ে বর্ষণ বলেন, ময়মনসিংহে শুটিং করছি। এখানে নতুন একটি সিনেমার শুটিং নিয়ে বেশ কিছুদিন ব্যস্ত সময় কাটছে।
সামনে নতুন সিনেমা সম্পর্কে কিছু জানতে চাই
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের প্রবন্ধ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘১৯৭১: করতলে ছিন্নমাথা’। একাত্তরের বিভীষিকাময় দিনগুলোর পটভূমি নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন রফিকুল আনোয়ার রাসেল। এতে আমার সঙ্গে থাকছেন নাজিবা বাশার ও সুষমা সরকার। এছাড়া আসাদুজ্জামান নূরকে দেখা যাবে ৮২ বছরের শিক্ষক নাজমুল হকের ভূমিকায়।
শুটিংয়ের জন্য তো বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়, বিষয়টি কেমন উপভোগ করেন?
আমি চট্টগ্রামের ছেলে। সেখানেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা আমার। দলবেঁধে বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড় ও সমুদ্রে ঘুরতে খুব পছন্দ করি। তবে শুটিংয়ের জন্য যেসব জায়গায় যাই, তা আসলে কাজের প্রয়োজনে। কাজ ভালোভাবে করতে পারলে সবকিছুই আনন্দ লাগে। কষ্টটাও উপভোগ্য হয়।
অন্য সময় জন্মদিন কীভাবে কাটানো হতো, কোনো পার্থক্য আছে কী?
হ্যাঁ তা তো আছেই। আগে এ দিনটিতে শুটিংয়ের ব্যস্ততা না থাকলে চট্টগ্রামেই থাকতাম। এর আগের সব জন্মদিনে মায়ের ও ভাগনির হাতে বানানো কেক খেয়েই সকাল শুরু হতো। তবে মা ও বড় বোনের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা হয়েছে। কাজ শেষ হলে যেদিন বাড়ি যাবো সেদিনই মায়ের বানানো কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করবো।
বর্ষণের শুরুটা তো মঞ্চ দিয়ে, সে সম্পর্কে শুনি
হ্যাঁ মঞ্চ দিয়েই শুরু। মঞ্চ অভিনেতা ও সহকারী পরিচালক থেকে আমার পথচলা। আর সিনেমায় আসার স্বপ্ন বুনেছি সেখান থেকেই। শিখেছিও অনেক।
অভিনয়ের পাশাপাশি গান গাইতে দেখি বর্ষণকে
প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে বর্ষণের হাসি শোনা গেলো, তারপর বললেন-হ্যাঁ গান গাইতে আমার খুব ভালো লাগে। যারা শোনেন তারা ভালোই বলে। আমিও খুব স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েই গান করি।
সুরকার হিসেবে ইমতিয়াজ বর্ষণকে পেয়েছি উনপঞ্চাশ বাতাস সিনেমার গানে। নতুন কোনো গানের সুর অপেক্ষা করছে কী?
গানের সুর করাটাও আমার দারুণ লাগে। বেশ কিছু গানের সুর করা আছে। সামনেও করবো।
কাইজার, সাড়ে ষোলো, অপলাপের মতো ওয়েব ফিল্মগুলোতে আপনি নানা চরিত্রে ভেঙেছেন নিজেকে, অভিনেতা হিসেবে নিজেকে কেমন বিচার করছেন?
এক ঘরানায় আমি আটকে থাকতে চাই না। সে চেষ্টাই করছি। দর্শক আমার সবগুলো চরিত্রকে গ্রহণ করছেন এবং প্রশংসাও করছেন। আমি খুশি।
বর্ষণের জন্য ঢাকায় কেউ অপেক্ষা করছে কী?
আপাতত চট্টগ্রামে মা ও বড় বোন, আর ঢাকাতে বন্ধু-বান্ধবরা অপেক্ষায় আছে আমার জন্য। আর কারও কথা জানা নেই।