টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ভারী বর্ষণের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জলাবদ্ধতার ফলে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিষ্ফোরণে এদিন রাত ১২টা থেকে দু’টি হল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীরা গোসল ও খাওয়ার পানির সংকটে পড়েন।
দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা পর বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই দুই হলে সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটায় সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়।
বঙ্গমাতা হলের শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান সুপ্তি বলেন, রাত থেকেই বিদ্যুৎ নেই হলে। হলের নিচ তলায় রাতে পানি ছিল কিন্তু সকালে নেমে গেছে। এছাড়া এখনো হাটু সমান পানি হলের ভেতরে। দুপুরে ক্যান্টিনে খাবার অপর্যাপ্ত থাকায় অনেকে খেতেও পারেনি। এমন দূর্যোগপূর্ণ পরিবেশে আবার ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নীলক্ষেত মোড় থেকে নিউমার্কেট এলাকায় এখনও হাঁটুপানি। ভারী বর্ষণে নিউমার্কেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, বঙ্গমাতা হল ও মৈত্রী হলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বঙ্গমাতা ও মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা রিকশা ও ভ্যান দিয়ে হল থেকে বের হচ্ছেন। এছাড়াও শাহনেওয়াজ হোস্টেরের নিচতলায় পানি জমে আছে।
বঙ্গমাতা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন বলেন, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিকাল থেকে হলে একটি সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পানি নামা না পর্যন্ত স্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে জানতে মৈত্রী হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজমুন্নাহারকে ফোনকলে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে যে পানি নামার সকল পথ বন্ধ। পানি একেবারেই ধীরে কমছে। পানি নামানোর জন্য ওয়াসার তিনটি টিম কাজ করছে। পানি যাওয়ার সবগুলো লাইন বন্ধ হয়ে আছে। আশাকরি দ্রুতই আমরা এর একটি সমাধান দিতে পারবো।