দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২৬ তম সম্মেলন হয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার। এদিন পুরাতন কমিটির বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তবে নতুন কমিটি ঘোষণা না করেই সম্মেলন শেষ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর থেকেই নেতৃত্বের দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা নেতাদের নিয়ে সামনে আসতে থাকে নানান আলোচনা সমালোচনা। বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয় সম্ভাবনাময়ীদের। এবার সেই বলির পাঠা হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাওহীদ দুর্জয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার 'রাবি ছাত্রলীগ নেতা দুর্জয়ের সঙ্গে শিবির সংশ্লিঠতা' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক সরেজমিন পত্রিকা। বিষয়টি নজরে আসলে সোমবার প্রতিবাদলিপি দেন দুর্জয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে পত্রিকাটি। পরে প্রতিনিধির তথ্যগত ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন তারা। সেইসঙ্গে তারা এ নিয়ে একটি সংবাদও প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, যে ছবিকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল সেটি দুর্জয়ের বিভাগ ইসলামিক স্টাডিজের একটি প্রোগ্রামের। এতে শিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। এছাড়া আমরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি দুর্জয়ের পরিবার স্থানীয় আওয়ামীলীগের সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তাওহীদ দুর্জয় বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায়, একটি পক্ষ আমাকে নিয়ে ব্যতিক্রমী ষড়যন্ত্র করছে। আমার পুরো বংশই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমিও ছোটোবেলা থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথেই ছিলাম। অথচ, তারা প্রচার করার চেষ্টা করছে, আমি শিবিরের সাথে জড়িত। এটা প্রমাণ করতে আমার ডিপার্টমেন্টের অনুষ্ঠানের সময় তোলা একটা ছবি দেখাচ্ছে তারা। এরকম হাস্যকর অভিযোগ কি কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে আনছে, সেবিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবকরা অবশ্যই খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আমি মনে করি।
তাওহীদ দূর্জয়ের রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রেক্ষাপট বিষয়ে তার এলাকার ইউনিয়ন (যাত্রাপুর) আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ জামাল বলেন, পাশের গ্রামে হলেও, আমার বাড়ি থেকে হাফ কিলোমিটার দূরেই তৌহিদদের বাড়ি। ওদের বংশের সবাইতো আওয়ামীলীগ করে। আমাদের ইউনিয়নেতো বলা যায়, মাত্র ২ আনা মানুষ হয়তোবা অন্য দল করে। ওর পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত, তৌহিদ নিজেও ছোটোবেলা থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথেই ছিল।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, আমি যতটুকু জানি, ওর সবকিছুই পজিটিভ। তৌহিদের পরিবার ও বংশ আমাদের আওয়ামী লীগ পরিবারের মধ্যেই আছে। একটু মান-অভিমান থাকতে পারে। তৌহিদ মনে হয় স্থানীয়ভাবে রাজনীতির সাথে ছিলনা, তবে ওর বংশটা আওয়ামীমনা এবং ও ছেলে হিসেবেও ভালো।
কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রেদয়ানুল হক দুলাল বলেন, আমাদের এদিককার ছেলেপেলে যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়, তারা সাধারণত চান্স পাওয়ার পরেই রাজনীতির সাথে জড়িত হয় । তবে তৌহিদ ভালো ছেলে তার পরিবারও আওয়ামীমনা।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, 'তাকে আমি চিনি। সে ভালো ছেলে।