রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

পর্যটনের সম্ভাবনা কাজে লাগালে বদলে যাবে বাংলাদেশ: জেপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রু‌বেল

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:২৪

জাতীয় পার্টি-জেপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল বলেছেন, সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিদেশি ভ্রমণার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় এই দেশের নয়নাভিরাম মায়াময় সবুজ প্রকৃতি। বাংলার প্রতিটি গ্রামই যেন এক একটি পর্যটন স্পট। বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য বারো শতাধিক পর্যটন স্পট রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৩টি সম্ভাবনাময় হিসেবে মনে করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও ব্র্যান্ডিংয়ের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন খাত। পর্যটনের সম্ভাবনা কাজে লাগালে বদলে যাবে বাংলাদেশ। 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কাকরাইলে জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, চীনা পর্যটক ফা হিয়েন, হিউয়েং সাং থেকে শুরু করে বাংলার আকর্ষণ উপেক্ষা করতে পারেননি মধ্যযুগের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতাও। তিনি দীর্ঘদিন বাংলায় অবস্থান করে উপভোগ করেন এখানকার শ্যামল প্রকৃতি। 

‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল বলেন, পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে কীভাবে একটি দেশ উপকৃত হতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশের দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা।

রাজনৈতিক সংঘাত ও কোভিডের ফলে সৃষ্ট ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশটির অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে দেউলিয়া ঘোষিত হয় দেশটি। এমনকি বাংলাদেশের থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয় তারা। তবে এর সবই এখন অতীত। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটির অর্থনীতি। তাদের মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশের থেকেও কম। এমনকি সম্প্রতি বাংলাদেশের থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণও শোধ করেছে তারা। আর এই সবই সম্ভব হয়েছে দেশটির পর্যটন খাতের কল্যাণে। কোভিড নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর দেশটিতে ফের ফিরতে শুরু করেন বিদেশি পর্যটকরা। এর বদৌলতে মাত্র এক বছরের মধ্যেই খাদের কিনারা থেকে ফের উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে তারা। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নিতে হবে সমন্বিত উদ্যোগ। যেখানে যুক্ত থাকতে হবে সরকারি-বেসরকারি সব অংশীদারকে। সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্থানীয় অধিবাসীদের। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণে বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে চালাতে হবে আলাদা ব্র্যান্ডিং।

জাতীয় যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি দিবস তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন নান্নু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রমিজুল ইসলাম সোহাগ, এসএম বিপ্লবসহ অনেকে।

ইত্তেফাক/পিও