শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘কিডনি প্রতিস্থাপনে বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্য’

আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:০৭

গত দুই দশকে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপন এখন কিডনি অকেজো রোগীদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে। তবে ডোনার স্বল্পতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারণার অভাবে মানুষ ভুল ধারণা পেয়ে থাকে। যার কারণে ডোনাররা কিডনি প্রতিস্থাপনের বিকাশকে তরান্বিত করতে উৎসাহ হারাচ্ছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে কিডনি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ১৯তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে এমন তথ্য তুলে ধরেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ। ২০০৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কিডনি ফাউন্ডেশন ৫৮৫ টি কিডনি প্রতিস্থাপন করেছে বলেও তিনি জানান। 

অধ্যাপক হারুন অর রশিদ আরও বলেন, বেসরকারি ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টারের খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলস্বরূপ বেশিরভাগ রোগী ডায়ালাইসিস শুরু করার ৬ মাস পর চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। এসময় তিনি কিডনি সংযোজন চিকিৎসা কিভাবে মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রদান করা যায় তার ওপর বক্তব্য প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর প্রায় ৩৫-৪০ হাজার রোগীর কিডনি অকেজো হয়ে যাচ্ছে। যাদের ৮০ শতাংশ মারা যায় কিডনি ডায়ালাইসিস বা সংযোজন চিকিৎসার অভাবে।   
অধ্যাপক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন,  বাংলাদেশ ডায়াবেটিস এসোসিয়েশনের সভাপতি  ডা. এ. কে আজাদ খান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক নিজামউদ্দীন চৌধুরী, কিডনি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রুহুল আমিন রুবেল, অধ্যাপক মুহাম্মদ মাপনি ইয়াকুব, রয়াল লন্ডন হাসপাতাল ইউকে, অধ্যাপক বিবেকানন্দ জা. ভারতের জর্জ ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ এর পরিচালক।

এই সম্মেলন দেশের এবং বিদেশের খ্যাতিমান কিডনি ও ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের প্রথমদিন ৪টি বৈজ্ঞানিক সেশনে ১২ জন অধ্যাপক কিডনি রোগের নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। দ্বিতীয় দিনে তিনটি বৈজ্ঞানিক সেশনে ১২ জন দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন। সম্মেলনের দুইদিনে বিদেশি মোট ১১ জন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও দেশের শতাধিক চিকিৎসক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

 

ইত্তেফাক/এবি