রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়াল এক হাজার

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩২

ডেঙ্গুতে চলতি বছর দেশে এক হাজারেরও বেশি মৃত্যু হছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে অন্তত ১ হাজার ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার। মৃতদের মধ্যে শিশুসহ ১৫ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী ১১২ শিশু রয়েছে। খবর আলজাজিরার।

দ্রুতগতিতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের স্থান সঙ্কুলান করা সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। এ বিষয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেশির ভাগ রোগীই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থবার ডেঙ্গু হলে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে প্রবল। এছাড়া, অনেকেই আমাদের কাছে দেরি করে আসছেন। সেক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসায় জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট অন্যান্য রোগ বিশেষ করে চিকুনগুনিয়া দ্রুত ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘যথাযথ প্রতিরোধের অভাবে ডেঙ্গু বহনকারী মশা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০০-২০১৮ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকি শুধু ঢাকা শহরেই বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে সেটি বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর সেই ঝুঁকি গ্রামাঞ্চলেও স্থানান্তরিত হয়।’

কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বৃষ্টির পর মশার লার্ভা নিধনের প্রচেষ্টা পর্যন্ত ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে সরকার।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গুর উপসর্গ হলো- উচ্চমাত্রায় জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশী বা জয়েন্টে ব্যথা ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছালে রক্তপাতও হতে পারে। এর ফলে অনেকে মৃত্যুবরণও করে থাকেন।

ইত্তেফাক/এইচএ